তাসবিহের মালায় গাঁথা হাদিনামা
—রফিক আতা—
আজ প্রবিত্র শুক্রবার!
দরুদের সুরে জেগে উঠবে
সমস্ত মুমিন হৃদয়ের গভীর প্রান্তর।
ঝংকৃত হবে মুসলিম অন্তর।
তনুমনে দরুদ কাব্য রচিত হবে
ঠিক তখনি সামনে আসে—
আতাউল্লাহ সালমানের কন্ঠের মায়ায়
পল্লি কবির সেই কালজয়ী কাব্য—
গলেতে তাসবিরও মালা..
সালমানের পাশে চরম ভক্তির আকাশ
আর অনুনয়ের অথৈ সাগর নিয়ে
সুর তুলছেন কলিজার অর্ধেক অংশ—
প্রিয় শহীদ শরীফ উসমান হাদি।
গলেতে তাসবিরও মালা
কে চলে ঐ কমলিওয়ালা রে..
ওরে আমার বুকের দরগা তলায়
তারে ডেকে নিয়ে আয়..
রাসূলের শানে জসিমউদ্দীনের গান,
আর হাদির হৃদয়ে প্রেমের ঝড়!
হাদি হয়তো তখনও জানতেন না—
গানটি পল্লিকবির হলেও, একদিন
বিদ্রোহী কবির আঙিনাতেই হবে তাঁর চিরনিদ্রা।
আজ শুক্রবার!
আমরা দরুদ পড়ছি, হাদিও হয়তো
নজরুলের প্রতিবেশী হয়ে সুর মেলাচ্ছেন—
একই প্রেমে, একই আবেগে—
গলেতে তাসবিরও মালা..
কে চলে ঐ কামলিওয়ালা রে..
(অবশ্যি বিদ্রোহী কবিতার আবৃত্তিটাও
ছাড়বেন না নিশ্চয়ই।)
কিন্তু!
হাদির সেই কথাটা আজও বাতাসে ভাসে—
আমাকে গুলি করা হলে
অন্তত বিচারটা আপনারা কইরেন!
এক শুক্রবারে গুলির আঘাত
আরেক শুক্রবারে শাহাদাত!
আজ তৃতীয় শুক্রের ক্রন্দন।
গড়িয়ে যাওয়া প্রতিটি সেকেন্ড
একেকটা দীর্ঘ চিৎকার—
“হাদির বিচার কোথায়?”
হায়—
এখনও বুঝি
হাদির হত্যার বিচার অমীমাংসিত!
রচনাকাল
ছাব্বিশ, বারো, পঁচিশ ইং
শুক্রবার।
রাত, ১.১৫ মিনিট।