আনুগল্প-০২
আসুন না একটু চিন্তা করি
আচ্ছা, আমারা কি কখনো চিন্তা করি..?
হ্যা,করিতো....কিন্তু, কি নিয়ে চিন্তা করি...??আমরা চিন্তা করি ভবিষ্যৎ নিয়ে।কীভাবে আমরা বড় হব, ধনবান হব,কি করব না করব। চিন্তা করি আমাদের দুঃখ কষ্ট নিয়ে।তবে,এই দুঃখ কষ্ট লাঘবের চিন্তা কেউ করি কি...?
তাহলে,শুনুন...আমরা যে ভবিষ্যৎতে বড় হওয়ার জন্যে আজকের দিনটা কে নষ্ট করে ফেললাম।কীভাবে...? হ্যা,সেটাও বলছি....আমরা যে আজকে বেঁচে আছি আর আগামীকাল বেঁচে থাকব তার কি কোন নিশ্চয়তা আছে কি? না নেই..... তাহলে এবার ভাবুন..
আজকে আমদের যাদের জীবণে সকাল গড়িয়ে দুপুর এসেছে, দুপুর গড়িয়ে বিকেল এসেছে, বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা আসছে-তারা কি একটি বারও চিন্তা করেছি আমাদের সারাদিনে সফলতা-ব্যর্থতাকে নিয়ে?
আজকের দিনের জন্য সফল তো সেই ব্যক্তিই, যে ফজর, যহর, আসর, মাগরিব নামাজ শেষ করতে পেরেছে এবং এশার জন্য অপেক্ষা করছে। সফল তো সেই ব্যক্তি, যার মিথ্যা বলার প্রয়োজন হয়নি বা বলে নাই, যাকে অন্যকে ঠকানোর কর্মসূচী হাতে নিতে হয় নাই, যাকে অন্যকে তার জিহ্বা বা হস্তদ্বয় দিয়ে প্রহার করার প্রয়োজন হয় নাই, অন্যের সমালোচনা নিয়ে ব্যস্ত থাকতে হয় নাই, যার অসৎ পথে আয় করতে ব্যস্ত থাকতে হয় নাই, এবং যে সারা দিনের ভুল-ত্রুটির জন্য সৃষ্টিকর্তার কাছে অনুশোচনা করতে পেরেছে।
অপরদিকে ব্যর্থ বা হতভাগা তো সে বা তারাই, যার সারা দিনে হাজারটা কাজের ইচ্ছা ও সময় থাকে কিন্তু শুধু সময় বা ইচ্ছা থাকে না পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ার। যারা অকাজে সময় ব্যয় করেছে।
যে আমার আপনার এবং এই পৃথিবীর সমস্ত প্রানীর রিযিকের ব্যবস্তা করেছেন তার নিকট কি একবার ও শুকরিয়া আদায় করেছি কি...?অনকের সঠিক উত্তর আসবে, না।
আসলে সেই সময় আমরা পাই না।পাই না বললে ভুল হবে আসলে সময় বের করতে পারিনা। কিন্তু,সারাদিন বিনোদন,তামাশা,অপকর্মে ঠিকই সময় ব্যায় করছি...?
অসৎ পথ অবলম্বন করে যারা নিজেকে সুখী ও ক্ষমতাবান প্রমাণ করার চেষ্টা করে, তারা কখনই বুঝতে পারে না, তারা আসলে চিরস্থায়ী অসুখী ও ক্ষমতাহীন। তারা যদি একটিবার উপলব্ধি করতে পারত তারা আসলে কোথায় তলিয়ে যাচ্ছে, তাহলে আর এ মরিচিকাময় সুখ বা ক্ষমতার পেছনে কখনই তারা দৌঁড়াতো না।আমাদের দুঃখ কষ্ট লাঘবের জন্য কি কখনো ঐ মহান সৃষ্টিকর্তার নিকট সাহায্য প্রার্থনা করি??
আবার এইসব কষ্ট প্রেসানির জন্যে নিজের ভাগ্য কে দোষারোপ করি,আফসোস ঠিকই করি,আল্লাহর উপর খুব্ধ হই।
এই পৃথিবীতে স্বার্থ ছাড়া কেউ কারো হবে না, কেউ কাওকে মূল্য দিবে না। আমরা কারো জন্যে কাদলেও কেউ সেই চোখের পানির মূল্য দিবে না, কিন্তু,আল্লাহর নিকট কাঁদলে সে কাউকে ইনশাল্লাহ ফিরিয়ে দেবে না।আমরা সেটা জানি আর জানার পরেও কাজটা করিনা অবহেলা করে যায়।
শুধু কষ্টে পতিত হলেই কেবল কিছু সময়ের জন্য তাকে স্বরণ করি, বিপদ কেটে গেলেই আবার সবাই তাকে ভুলে যায়।বিপথে চলতে থাকি।
আমরা মানুষেরা সামন্য দুদিনের দুনিয়াতে যদি এতো দুঃখ,কষ্ট পাই,তাহলে যে পরকালের ধ্বংস আমরা নিজেরাই ডেকে আনছি সেই কষ্ট সহ্য হবে কীভাবে...???
তাই দুনিয়ায় থেকে আখিরাতের কথা বেশি চিন্তা করা উচিৎ ।শান্তি এনে দিবেন 'আল্লাহ '।
তাই আসুন, এখনও সময় আছে সৃষ্টিকর্তার তওবার দরজায় লুটিয়ে পড়ার। যথেষ্ট হয়েছে, আর নয়,! আল্লাহর ক্রোধ আর বাড়াতে চাই না!! আল্লাহর দরবারে তওবার মাধ্যমে ফিরে আসার সুযোগ আছে।আল্লাহ আমাদেরকে সৎ ও সঠিক পথে চলার তৌফিক দান করুন!
।(আমিন)
লেখক: আল-মামুন রেজা
১৬-০১-২০২০
করেছেন
আল-মামুন রেজা
22 সেপ্টেম্বর
ছন্দ কথন-২২
বন্ধুত্ব হোক তার সাথে,,
আজও যে রাত জেগে
আমার আশায় বসে আছে।
আমার ভাবনায় মগ্ন থাকে যে রোজ,,
চাঁদের কাছে রাতের কাছে
যে আমার নিত্য নেয় খোঁজ।
আমায় না পেয়ে বিনিদ্র রাত,যার হয় সঙ্গী
তার সাথেই হোক আমার
আজীবনের আমৃত্যু সন্ধি
আল-মামুন রেজা
করেছেন
আল-মামুন রেজা
22 সেপ্টেম্বর