শূন্যে দাড়িয়ে আমি,
নিশ্চল রাতে,নিঃশব্দ বাতাসে,
হৃদয় জেগে ওঠে অজানা প্রশ্নে–
"কি আছে আমার চারপাশে?
কি আছে আমার ভেতরে?"
তারা নেই,আলো নেই,
শুধু অন্ধকারে ভেসে যায়
নিঃশব্দের প্রতিধ্বনি,
যা বলে না ,
কিন্তু শোনায়,
শুনলে বোঝা যায়।
হাত বাড়াই,
বাতাসে ছুঁই নিজের আশা,
প্রতিটা নিশ্বাসে শূন্য থেকে শব্দ জাগে,
শূন্য থেকে আলো,শূন্য থেকে প্রতিউত্তর।
শূন্যের মধ্যে আমার কণ্ঠহীন চিৎকার,
শূন্যের মধ্যে আমার লুকানো আশা,
শূন্যের মধ্যে আমার প্রথম শিক্ষা–
শুনতে হবে,ধৈর্য ধরতে হবে,
শূন্যেই লুকিয়ে থাকে উত্তর।
রাত্রি ভোরে মিলিয়ে যায়,
শূন্য আর শব্দ এক হয়ে যায়,
আমি দাড়াই,নিঃশব্দে হাসি,
শূন্যও এখন কথা বলে,
শূন্যও এখন শেখায়,
আমি শিখি–শূন্য থেকে জীবন আসে,
শূন্য থেকে প্রতিউত্তর।
অর্থ / উদ্দেশ্য : শুন্য ও নিঃশব্দের মধ্যেও প্রতিউত্তর পাওয়া যায়। জীবনের শুরুতে যা আমরা পাই না, তা থেকেই শেখা যায়।