একবার ফের ফিরে যাই চাঁদ রঙ্গের মন্ত্রণালয়ে
—রফিক আতা—
আমি দাঁড়িয়ে ছিলাম শ্যাওলা পড়া দেওয়ালে পিঠ ঠেকিয়ে। তাকিয়ে ছিলাম মহা শূন্যের কোঠায়। আকাশে ভেসে চলা নিহারীকা, জলজ বাষ্পের কোলে।
রাতের আকাশে তখন কোন তারকা ছিলোনা। শুধু এতটি মাত্র চাঁদ। সেই ছোট্ট বেলার চাঁদ। যার দিকে তাকিয়ে শৈশবে হাটতাম।আর ভাবতাম—চাঁদটি বুঝি আমার অনুসরণ করছে। আমার সাথে হেটে চলেছে।
অজান্তেই তখন চাঁদ কে বন্ধু বানিয়ে ফেলেছিলাম। গভীর রাতে সবাই যখন নীরব ঘুমে অচেতন। তখন ই শুরু হতো আমাদের প্রেমালাপ । কত রকম গল্প হতো! সময় অসময়ের। প্রেমভূক ও বাগান বিলাসী গেট ফুলের।
কখনও উঠানে দাড়ানো বড়ই গাছটায় বেচাইন মনে হেলান দিয়ে।কখনো ওয়েটিং রুমের জানালা মেলে কখনও শ্যাওলা পড়া দেওয়ালে পিঠ ঠেকিয়ে।
■কিন্তু আহ!
■কালক্ষেপণ আমাকে আজ এমন এক জীবনের মুখোমুখি এনে দাঁড় করিয়েছে! এমন এক অবস্থা ও অবস্থান চারপাশ থেকে আমায় ভিমরুলের মতো ঘিরে ধরেছে!
চাঁদ নিয়ে ভাবার সময়টুকু পর্যন্ত আমার টাইম লাইনে নেই।একরাশ শূন্যতা নিয়ে হলেও রাতের আধারে না বলা কোলাহল থেকে মুক্ত হয়ে আকাশে ফেরার পথ নেই। পথ নেই কতকাল হিংসুটে আশপাশ আড়াল করে ভাব জমানোর।
■এভাবেই কেমন করে যেন শৈশবের পথচলা বন্ধু ও বন্ধুত্বের মাঝে ঘুন পোকারা রাজ করতে শুরু করে। শত ভিমরুল হুল ফুটিয়ে ফুটিয়ে পৌঁছে দিতে শুরু করে কোন এক শূন্যের ঠিকানায়।
রাতের এই বিনম্র ওয়েদারে আমার মনোযোগ ছিলো নায়েব সাহেব হুজুরের বয়ানের মাঝে। জানিনা কেন বেলা কালেরা আমাকে মসজিদ থেকে অদৃশ্য রশির টানে বাইরে নিয়ে এলো। আমাকে দাড় করালো মসজিদে রশীদের শ্যাওলা পড়া দেওয়ালে ভার করে।
আজ হঠাৎ কেন জানি চাঁদ আকাশ ও নীহারিকাদের প্রতি ভীষণ মায়া উতলে উঠলো। আমার ভেতরের ভাঁটা পড়া সৌহার্দ্যে জোয়ার উঠতে লাগলো।অজানায় ভাসমান সম্মোহনের দল আমাকে সম্মোহিতের জাদুদলে ভিঁড়াতে লাগলো।
■ভাবলাম একবার ফের ফিরে যাই চাঁদ রঙ্গের মন্ত্রণালয়ে। একবার ফের ভাব জমাই ভাব বিহারে...
রাতলপি
পনেরো, এগারো, চব্বিশ ইং.
শুক্রবার