গুজরাটে পিতৃত্ব নিয়ে সন্দেহের ঘটনা দিন দিন বাড়ছে। এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, এই রাজ্যে পিতৃত্ব নিয়ে যেসব মামলা হয় তার বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ডিএনএ পরীক্ষায় পিতৃত্বের প্রমাণ পাওয়া যায় না।
গান্ধীনগরের ‘ডিরেক্টরেট অব ফরেন্সিক সায়েন্সের’ (ডিএফএস) ডিএনএ পরীক্ষা বিভাগের তথ্যানুযায়ী, প্রতি বছর প্রায় ২৫০টি এ ধরনের মামলা আসে। আর চাঞ্চল্যকর তথ্য হল, এই মামলাগুলোর মধ্যে ৯৮% ক্ষেত্রেই ডিএনএ পরীক্ষায় পিতৃত্বের প্রমাণ পাওয়া যায় না। অর্থাৎ, সন্দেহকারীরা সত্যিই সঠিক ছিলেন।ফলে, একদিকে যেমন সত্য উন্মোচিত হয়েছে, অন্যদিকে ভেঙে যাচ্ছে এক একটি পরিবার।
ডিএফএস কর্মকর্তাদের মতে, বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কের প্রবণতা বাড়ার কারণে এ ধরনের ঘটনা ঘটছে। অনেক ক্ষেত্রে বিয়ের আগেই শারীরিক সম্পর্ক তৈরি হয় এবং পরে অন্যের সঙ্গে বিয়ে হওয়ার কারণে এই জটিলতা তৈরি হয়। আবার অনেক ক্ষেত্রে একজন পুরুষ একাধিক মহিলার সঙ্গে সম্পর্ক রাখার ফলেও এই ধরনের ঘটনা ঘটে।
এইসব ঘটনা কেবল ব্যক্তিগত জীবনকেই প্রভাবিত করে না, সমাজের ওপরও এর প্রভাব বিদ্যমান থাকে। বিশ্বাসের ভরসাস্থল ভেঙে যাওয়া, পারিবারিক সম্পর্কের অবনতি ইত্যাদি এর উল্লেখযোগ্য কিছু প্রভাব।