আল আকসা দেশের মুজাহিদ
রাতের আকাশে পূর্ণিমার চাঁদ! চারদিকে নিস্তব্ধ এবং হিম শিতল হাওয়া... । একটা কাফেলা এগিয়ে যাচ্ছে তাদের মান্জিলের দিকে। কাফেলাতে যিনি সবচেয়ে বয়োজ্যেষ্ঠ তার নাম হলো জাবাল ইবনে খালিদ, যিনি কিনা এক সময় জিহাদ ফি সাবিলিল্লাহ করেছেন। এই কাফেলাতে আরও পাঁচ জন মুজাহিদ আছেন। কাফেলা গভীর রাতে শত্রুর চোখ ফাঁকি দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে তাদের জীবনের চেয়েও প্রিয় আল - আকসা মসজিদকে রক্ষা করার জন্য ফিলিস্তিনের গাজা শহরে অবস্থিত মুজাহিদদের একটা বড় গোপন দলে যুক্ত হতে। দীর্ঘ সময় ধরে ফিলিস্তিন সহ আল- আকসা অবরুদ্ধ হয়ে আছে ইসলামের শত্রুদের দ্বারা। ফিলিস্তিন এবং আল-আকসা মসজিদ প্রত্যেক মুসলিম এর জন্য পবিত্র জায়গা, যেগুলোর সাথে জড়িত আছে অনেক ইতিহাসের পাঠ। ইসলামের সর্বশেষ নবী ও রাসূল মুহাম্মদ সাঃ মিরাজের রাতে আল- আকসাতে সালাত আদায় করে ছিলেন নবী রাসূলদের নিয়ে আর এই মসজিদ থেকেই সপ্ত আসমানের উপর আরশে আজিমে গিয়ে ছিলেন মহান রবের সাথে দেখা করতে। এরকম আরও নানান ইতিহাস জড়িত আছে এই জায়গাগুলোর সাথে....। কাফেলার প্রধান জাবাল ইবনে খালিদ তার দলের অন্য সাথীদের বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলছিলেন এবং তাদের চরম শত্রু ইহুদিদের সম্পর্কে বার বার সাবধান করছিলেন। জাবাল ইবনে খালিদ এর সাথে যে পাঁচ জন সাথী আছেন তারা টগবগে যুবক, যাদের আছে বিশুদ্ধ তাওহীদের জ্ঞান এবং জিহাদের চেতনা, তারা ইসলাম ও মুসলিমদের রক্ষাতে তাদের জীবন কুরবান করে দিয়েছে। তো তারা সবাই মিলে দীর্ঘ পথ যাওয়ার পথে আল - আকসার অনেকটা কাছে পৌছিয়ে গিয়েছে আর তখন ফজরের সময় হয়েছিল বলে সফরের বিরতি দিয়ে ফজরের সালাত এক স্থানে আদায় করে নেই তারা সবাই। সালাত শেষে তারা আল আকসা মসজিদ থেকে তিন কিলোমিটার দক্ষিণে আরেকটা কাফেলা এর সাথে যুক্ত হয় যারাও এসেছে একই উদ্দেশ্য নিয়ে। দুই কাফেলা মিলে নিরাপদ এক স্থানে তাঁবু টানিয়ে ফেলে এবং সেখানে তারা বিশ্রাম নেওয়া শুরু করে কেননা তারা ছিল অনেকটা ক্লান্ত, দীর্ঘ পথ সফর করার জন্য। সবাই যদিও বিশ্রাম করছিল কিন্তু জাবাল ইবনে খালিদ একা একা বেড়িয়ে পরে চারপাশে একটু নজর রাখার জন্য, তারা যে যায়গাতে তাঁবু করেছে সেখানে শত্রুদের দ্বারা আক্রমণ হওয়ার কোনো সুযোগ আছে কিনা সেটা যাছাই করার জন্যই বাহির হয়। এছাড়াও আরেকটা কারণ হলো ফিলিস্তিনের স্থানীয় কোনো বড় মুজাহিদ বাহিনী এর সাথে যুক্ত হওয়া যারা জিহাদের সাথে জড়িত আছে এবং বিভিন্ন মিশন পরিচালনা করছে। অনেকটা দূর একটা গ্রামে প্রবেশ করে জাবাল ইবনে খালিদ আর কাকতালীয় ভাবে তার এক পুরাতন বন্ধু ও জিহাদের সাথী এর সাথে দেখা হয়, যার নাম ছিল আবু সুফিয়ান। অনেক দিন পর দুই বন্ধু দেখা হয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পরে। তাদের কথোপকথন ছিল এরকম -
জাবাল : আমি ভাবতে পারি নি তোমর সাথে দেখা হবে আমার বন্ধু, আজ হঠাৎ করে তোমার সাথে দেখা হয়ে মনটা খুশিতে ভরে গেল!
সুফিয়ান : হ্যা বন্ধু আমারও! তো তুমি এই শহরে কেন এসেছো?তুমি জানো না এই শহরে বিপদ আর বিপদ, জীবনের কোনো নিরাপত্তা নেই। শত্রুর সাথে এই দেশ ও শহরের মানুষ জীবন দিয়ে লড়াই করে যাচ্ছে...।
জাবাল : হ্যা আমি এই সব কিছু জানি, আর সব জেনেই এসেছেি আমি এখানে আমার ছোট কাফেলা সহ যাতে আমরঅও তোমাদের সাথে শামিল হতে পারি। আমরা এখান থেকে কিছুটা দূরে অস্থায়ী তাবু করেছি, আমার সাথীরা সেখানে বিশ্রাম করছে।
সুফিয়ান : তুমি তোমার সাথীদের কাছে ফেরত যাও এবং তাদের কে নিয়ে আমাদের মুজাহিদ ক্যাম্পে চলে আসো কেননা ফাঁকা মরুভূমিতে থাকা নিরাপদ নয়!
জাবাল : তাহলে আমি এখনি তাদের নিয়ে আসছি তোমাদের ক্যাম্পে......
এই বলে জাবাল তার সাথীদের কাছে ফিরত গেলো এবং তাদেরকে সেখান থেকে নিয়ে সুফিয়ানদের ক্যাম্পে চলে আসলো। সুফিয়ান সবাইকে নিয়ে দেখা করালো তাদের লিডার আবু নাসির এর সাথে যিনি তাদের বড় দলের লিডার এবং সকল ধরনের নেতৃত্ব তিনিই দিয়ে থাকেন, আর সুফিয়ানও তার হয়ে কাজ করে থাকেন। সুফিয়ান একজন বিশস্ত মুজাহিদ , আর সে যেহেতু জাবাল এবং তর সাথীদের নিয়ে এসেছে তাদের গোপন ক্যাম্পে তাই দলের লিডার আবু নাসির কোনো রকম আপত্তি করেন নি। তিনিও জাবাল এবং তার সাথীদের গ্রহণ করলেন এবং পরিচয় - কুশল বিনিময় করলেন সবাই মিলে। লিডার নাসির তার সহচারী তাইমিয়াকে বললেন তাদের থাকার ব্যবস্থা করতে বললেন, তো তাইমিয়া কিছু সময় এর মধ্যে নতুন কাফেলাদের থাকার ব্যবস্থা করে ফেললেন এবং তাদের সেখানে নিয়ে যাওয়া হলো বিশ্রাম এর জন্য। কিছু সময় পর সবাই যোহরের সালাত এর জন্য প্রস্তুতি নিলেন। সালাত শেষে দস্তরখানাতে খাওয়া- দাওয়া করলেন। খাবার খাওয়া শেষে জাবাল একান্ত ভাবে লিডার নাসির এর সাথে কথা বলার সুযোগ পেলেন এবং তারা ফিলিস্তিনের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা শুরু করলেন। জাবাল লিডার নাসির এর কাছ থেকে তাদের ক্যাম্পে অবস্থানরত মুজাহিদদের প্রশিক্ষণ সম্পর্কেও জেনে নিলেন এবং এটাও জানতে পারলেন যে আজকে রাতে তাদের ছোট একটা মিশন আছে। আবু নাসির মূলত তার ছোট এক দলকে পাঠাবে শত্রুর এক ডেরাতে আক্রমণ করে তাদের কিছু গোপন নথিপত্র নিয়ে আসার জন্য। জাবাল তখন নিজে যাওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করে তখন আবু নাসিরও অনুমতি প্রদান করে। যখন রাত হলো তখন লিডার জাবালকে সহ তার ছোট একটা মুজাহিদ দলকে পাঠায় তাদের ক্যাম্প থেকে ১২ কিলোমিটার দূরে একটা ডেরাতে আক্রমণ করার জন্য। কয়েক ঘন্টার মধ্যে তারা শত্রুদের ডেরাতে উপস্থিত হয় এবং কৌশলে আক্রমণ করে তাদের নাস্তানাবুদ করে। সময় নষ্ট না করে তারা ডেরা থেকে নথিপত্র গুলো নিয়ে তাদের ক্যাম্পে চলে আসে। ক্যাম্পে আসার পর তারা নথিপত্র গুলো লিডার নাসির এর কাছে হস্তান্তর করে দেয়। নাসির তা নিয়ে নিজ কক্ষে চলে যায়। জাবাল সুফিয়ানকে নিয়ে লিডার নাসির এর কক্ষে প্রবেশ করেন আর বলে যে এসব নথিগুলোতে কি আছে? লিডার তখন একটা চিঠি পড়ছিলেন। চিঠি পড়া শেষ হলে লিডার বলে যে অতি শীঘ্রই আল - আকসাসহ চারিপাশের এলাকাতে খ্রিষ্টানদের এক দল আক্রমণ করবে এবং আল- আকসা তারা ইহুদিদের থেকে দখন করতে চাইবে। বর্তমানে আল আকসা ইহুদিদের দখলে, আর সেটা খ্রিষ্টানরা এখন নিজেদের দলে নিতে চাই। আমার কাছে খবর আছে যে
" ইহুদিদের সাথে কিছু খ্রিষ্টান মিশনারী যুক্ত আছে যারা ইহুদিদের বিভিন্ন খবর অন্য খ্রিষ্টান দলের কাছে পৌছায় আর সেসব খ্রিষ্টানদের কাছে এই ইহুদিদের সাথে থাকা খ্রিষ্টান মিশনারী গুলো এখন এই বার্তা দিয়েছে যে পরিস্থিতি ভালো, এর চেয়ে বড় সুযোগ পাওয়া যাবে না, এখনই সময় আল- আকসা দখল করে তা আমাদের করে নেওয়ার....."
তাই খ্রিষ্টানরা অতি শীঘ্রই আক্রমণ করবে তা বুঝা যাচ্ছে । সুফিয়ান তখন বলল কতদিন পর আল- আকসাতে আক্রমণ করা হবে?
লিডার নাসির : সম্ভবত দ্বিতীয় সপ্তাহে আক্রমণ হবে
জাবাল : তাহলে তো আমাদের কাছে সময় কম! যা করার তাড়াতাড়ি করতে হবে
সুফিয়ান : আচ্ছা লিডার এই যুদ্ধে আমাদের করণীও কি? মানে আমরা কাদের হয়ে লড়াই করব, ইহুদি এবং খ্রিষ্টান দুটো সম্প্রদায় তো আমাদের চরম শত্রু!
তখন লিডার নাসির বললেন - আপনি ঠিক বলেছেন হে সুফিয়ান। ইহুদি এবং নাসারা দুটো দলই আমাদের শত্রু। আমরা এখানে কাওকে সাহায্য করব না যুদ্ধের ময়দানে। কিন্তু আমরা কূটনৈতিক এর প্রয়োগ করব। আমরা ইহুদিদের বিরুদ্ধে খ্রিষ্টানদের শহরে প্রবেশ করতে সাহায্য করব এবং খ্রিষ্টানদের জন্য খাবার পানি সরবরাহ করব যাতে করে তাদের অসুবিধা না হয়। তারপর ভৌগোলিক অবস্থানসহ বিভিন্ন পথ এর সম্পর্কে তাদের অবগত করব যাতে ইহুদিদের সাথে তারা ভালো করে লড়াই করতে পারে। আমরা এতটুকুই সাহায্য করব খ্রিষ্টানদের.... ।
জাবাল : কিন্তু আমরা এরকম কেন করব?
লিডার : এরকম করার কারণ হলো খ্রিষ্টানরা যাতে মনে করে আমরা তাদের বন্ধু এবং আমরা যেত তাদের সাথে মিশে তাদের গোপন খবর গুলো জানতে পারি। খ্রিষ্টানদের এসব সাহায্য করলে তারা আমাদের বন্ধু ভাববে এবং মুসলিম এলাকাগুলোতে আক্রমণ করা হতে দূরে থাকবে। আমরা চাই যুদ্ধের সময় দুই দলই ব্যাপক হারে আহত- নিতহত হোক, এতে আমাদেরই লাভ। যে দলই জয়ী হোক অথবা পরাজয়, ক্ষতি দুই দলের হবে এবং বিজয়ী দলও দুর্বল হয়ে যাবে। যখন দুই দল দুর্বল হয়ে যাবে তখন আমরা আমাদের সকল মুজাহিদ নিয়ে আমাদের শত্রু ইহুদি নাসারা এর উপর আক্রমণ করব এবং তাদের শেষ করে ফেলব। এরকম করে শত্রুর পরাজয়ের মাধ্যমে আমরা আল- আলসা ও ফিলিস্তিন মুক্ত করে ফেলব ইনশাআল্লাহ ।
সুফিয়ান এবং জাবাল দু- জনে একত্রে বলল চমৎকার! আপনার পরিকল্পনা অতুলনীয়।
এই পরিকল্পনা এর মাধ্যমে আমরা কঠিন লড়াই ছাড়া সহজেই শত্রুদের উপর বিজয় লাভ করব ইনশাআল্লাহ ।
আবু নাসির গুপ্তচর এর মাধ্যমে খবর পেতে শুরু করল কবে খ্রিষ্টানদের আক্রমণকারী দল আল- আকসাতে আক্রমণ করতে আসবে। সেদিন থেকে পাঁচ দিন পর গুপ্তচর লিডার আবু নাসিরকে বলে যে খ্রিষ্টান আক্রমণকারী দল ফিলিস্তিন সীমান্ত এর ভিতর তাঁবু করেছে। বার্তা পাওয়া মাত্র অনেক মুজাহিদ এর সাথে করে লিডার আবু নাসির চলে গেলেন সেই দলের কাছে। খ্রিষ্টান দলের সেনাপতি এর সাথে দেখা করে তাদের সাহায্য করার ওয়াদা করলেন এবং বিনিময়ে আবু নাসির খ্রিষ্টান সেনাবাহিনীর প্রধান স্যামুয়েল কান্ট' কে বলল যে তারা যেন মুসলিম এলাকাগুলোতে আক্রমণ না করে। সেনাপ্রধান স্যামুয়েল কান্টও রাজি হয়ে গেল। চুক্তি শেষ করে আবু নাসির তার ক্যাম্পে ফিরে আসে আর সবাইকে সেই যুদ্ধের জন্য প্রস্তুততি নিতে বলে। এতক্ষণে ইহুদিদের কাছেও খবর পৌঁছিয়ে গিয়েছে যে বিরাট খ্রিষ্টান সেনাবাহিনী ইহুদিদের আক্রমণ করার জন্য ফিলিস্তিন সীমান্তে চলে এসেছে, আর এই বার্তাও তারা জানতে পারে যে তাদের সাথে থাকা খ্রিষ্টান মিশনারী গুলো তাদের সাথে বেইমানি করেছে। ইহুদি ধর্মীও গুরু এই কথা জানার পর সব খ্রিষ্টান মিশনারিকে শাস্তি প্রদান করে এবং হত্যা করে ফেলে......। সময় কম তাই ইহুদি ধর্মীও গুরুরা ইহুদি সেনাপ্রধানকে বলে যে ফিলিস্তিনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা সকল ইহুদি সৈনিকদের একত্রিত কর এবং যুদ্ধের ঘোষণা দিয়ে দাও। যেই কথা সেই কাজ। একদিন ও রাতের মধ্যে ইহুদি সৈনিকরা একত্রিত হয় এবং সবাই যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হয়। ২ দিন পর সূর্য উঠার সাথে সাথে শুরু হয় ইহুদি এবং খ্রিষ্টানদের রক্তক্ষয়ী ভয়ংকর এক যুদ্ধ । দুপুরের মধ্যে দ- দলের সৈনিকরা গণহারে আহত- নিহত হতে থাকে। ইহুদিদের জিতের পাল্লা ভারী হয় কিন্তু ইহুদিরা কি জানত আজকে তাদের জীবনের শেষ দিন? যখন খ্রিষ্টানরা পরাজয় হতে যাবে তখনি নারায়ে তাকবির আল্লাহ আকবার শব্দে বাতাস এবং মাটি প্রকম্পিত হয়ে উঠে। মুসলিম মুজাহিদদের বিশাল সৈন্য দল দেখে ইহুদি খ্রিষ্টান দু- দলই ভয় পেয়ে যায় এবং তারা পালাতে চাই কিন্তু মুসলিম মুজাহিদের দল বাতাসের গতিতে আক্রমণ করে এবং ইসলামের শত্রুদের কিতাল করতে থাকে এবং সকল শত্রুদের শেষ করে ফেলতে শুরু করে। ইহুদি সেনাপ্রধান বুঝতে পারছে না সে কি করবে, কেননা মুসলিম আক্রমণের ব্যাপারে তারা জানত না। ইহুদি সেনারা মনে করেছিল তারা হয় তো বিজয় লাভ করবে, কিন্তু এখন তারা বুঝে গিয়েছে যে তাদের জীবন নিয়ে নেওয়া হবে। ইহুদিরা যুগ যুগ ধরে মুসলিমের উপর যে অত্যাচার হত্যা করেছে আজ তার শাস্তি তাদের দেওয়া হবে আর সেটা হলো মৃত্যু! যার কথা তাদের কল্পনাতেই ছিল না। মুসলিম মুজাহিদরা প্রথমেই ইহুদিদের কিতাল করা শুরু করে এবং অল্প সময়ে সব ইহুদিদের শেষ করে ফেলে। ইহুদিদের শেষ করার পর তারা খ্রিষ্টানদের বন্ধি বানিয়ে ফেলে আর ইসলামের বড় দুই শত্রুদের এইভাবে পরাজয়ের মাধ্যমে তারা ফিলিস্তিন এবং আল- আকসাকে মুক্ত করে ফেলেন। মুসলিমরা আবার তাদের মাতৃভূমিকে ফিরে পান এবং পবিত্র মসজিদ আল আকসা মুক্ত হয়ে যায়। বিজয়ের খবর সব দিকে ছড়িয়ে পরে এবং নারায়ায়ে তাকবীর আল্লাহ আকবার শব্দে পুরো জনপদ প্রকম্পিত হয়ে যায়। সবাই আল আকসা এর দিকে জড় হতে থাকে জয়ধ্বনি এর সাথে, মুখে শুধু একটাই কথা আজ আমরা মুক্ত। মুসলিমদের বিজয় প্রাপ্ত এর পর সকল মুজাহিদ যার যার পরিবারের কাছে চলে যান। শুধু লিডার আবু নাসির ক্যাম্পে থেকে যান কেননা তার পরিবারের সবাই আগেই শত্রুদের কাছে শহীদ হয়ে গিয়েছেন। এছাড়াও অনেক মুজাহিদ ক্যাম্পে থেকে যান তাদের পরিবার না থাকার কারণে। জাবাল তার সাথীদের বাড়ি পাঠিয়ে দেন এবং নিজে লিডার আবু নাসির এর কাছে থেকে যান তাকে সাহায্য করার জন্য। লিডার নাসির এবং জাবালের সাথে ভালো সম্পর্ক হয় বন্ধুত্বের। আবু নাসির নতুন বন্ধু জাবালকে পেয়ে তার পরিবারের একজন সদস্যকে ফিরে পান এবং দুই বন্ধু মিলে এক সাথে কাজ করা শুরু করেন। সবাই মিলে আবার নতুন করে নিজের জীবনকে গুছিয়ে নিতে থাকেন এবং পুরো দেশকে আবার নতুন করে তুলেন। নতুন জীবনের সাথে এই ছোট গল্প এখানেই সমাপ্ত.....................