Enolej Idea-তে লেখা প্রকাশের নিয়ম জানতে পূর্ণ নির্দেশনা দেখুন...
ই-নলেজ আইডিয়া হলো এমন একটি চিন্তানির্ভর প্ল্যাটফর্ম, যেখানে মানুষ শুধু তথ্য নয়, চিন্তা শেয়ার করে। এখানে জ্ঞানীরা একত্র হন, নতুনরা পথ খুঁজে পান, এবং সবাই মিলে তৈরি হয় একটি জ্ঞানভিত্তিক উম্মাহ। এটি জ্ঞানচর্চাকে দৈনন্দিন জীবনের অংশ বানানোর একটি প্রচেষ্টা, যেখানে লেখা, ভাবা ও শেখা—সবই হয় মুক্তভাবে।আজই যোগ দিন!নিবন্ধন করতে এখানে ক্লিক করুন...।

-: ই-নলেজ আইডিয়া :-

আপনার লেখার কপিরাইট সুরক্ষা, স্বীকৃতি এবং ফ্রী প্রমোশন, সব এক প্ল্যাটফর্মে!

লেখালেখির কেন্দ্রীয় প্ল্যাটফর্ম আপনার লেখার অভিজ্ঞতাই বদলে দিবে। (পড়ুন...)

যদি আপনি হন পাঠক, কিংবা লেখক হিসেবে জ্ঞান-বিজ্ঞানের বিভিন্ন বিষয়ে লেখালেখি করেন:

যদি আপনার লেখাগুলোর কপিরাইট সুরক্ষা, সুশৃঙ্খলতা, আপনার ভেরিফাইড লেখক পোর্টফলিও এবং লেখক-পাঠকের কেন্দ্রীয় কমিউনিটিতে যুক্ত হতে চান, তাহলে নিবন্ধন করুন লেখালেখির কেন্দ্রীয় প্ল্যাটফর্ম “ই-নলেজ আইডিয়া” -এ!

এখানে অনেক প্রতিভাবান লেখক বিভিন্ন সিরিজে লিখছেন। আপনিও চাইলে আপনার লেখাগুলো সিরিজ আকারে সাজাতে পারবেন।

আপনার লেখক প্রোফাইল হবে একদম জীবন্ত পোর্টফলিও, এক ধরনের জীবন্ত বই। এখানে শুধু লেখক নয়, থাকবে পাঠকেরও সংস্পর্শ। ব্যাজ, পয়েন্ট, স্বীকৃতি এবং কপিরাইট সুরক্ষা তো থাকছেই, লেখাগুলো স্ক্যান করলেই আপনার নাম ভেসে উঠবে।

এটি তাই লেখালেখির কেন্দ্রীয় প্ল্যাটফর্ম!

চলুন বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক....

পূর্ণ নির্দেশনা [Full Guideline]

ই-নলেজ আইডিয়া – লেখালেখির কেন্দ্রীয় প্ল্যাটফর্ম!

"তুমি কি দেখেছো কভু জীবনের পরাজয়"–গানের সেই কথাগুলো কি মনে আছে? দুটো বাক্য–"ধরণীর বুকে পাশাপাশি মোরা,তবু কেও বুঝি কারো নয়"

0 পছন্দ 0 অপছন্দ
5 বার প্রদর্শিত
করেছেন (2,494 পয়েন্ট)   1 দিন পূর্বে "সাহিত্য(বিশ্লেষণ ধর্মী)" বিভাগে লেখা প্রকাশিত
পোষ্ট আইডি(eID) কার্ড↓ - লেখনীর স্বত্ব ও গুণের পরিচয়!
“ধরণীর বুকে পাশাপাশি মোরা, তবু কেউ বুঝি কারো নয়…”

— "তুমি কি দেখেছো কভু জীবনের পরাজয়"গানের সেই কথা গুলো। 

এই একটি লাইনের ভেতরেই আজকের সমাজের পুরো বাস্তবতা ধরা পড়ে। আমরা একই ঘরে, একই বেঞ্চে, পাশাপাশি বসে আছি—তবু মানসিকভাবে আমরা বহু দূরে।

এক সময় মানুষ মানুষের খোঁজ নিত। দেখা হলে কুশল বিনিময় হতো, দু’দণ্ড দাঁড়িয়ে কথা বলা হতো। আজ সেখানে দাঁড়িয়ে আমরা কেবল ফেসবুক আইডির নাম বিনিময় করি। একই বেঞ্চে দুজন বসে থাকে, কিন্তু কারো চোখ কারো চোখে পড়ে না—দুজনেই ব্যস্ত ফোনের পর্দায়।

সোশ্যাল মিডিয়ার এই যুগে এক অদ্ভুত বৈপরীত্য তৈরি হয়েছে। যারা ভৌগোলিকভাবে দূরে, তাদের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ খুব সহজ হয়ে গেছে। অথচ যারা হাত বাড়ালেই ছোঁয়া যায়, তাদের প্রতি অনুভূতি, দায়িত্ববোধ আর মনোযোগ ধীরে ধীরে হারিয়ে যাচ্ছে।

এখন আসি সমাজের সবচেয়ে ভয়াবহ বাস্তবতায়—ডিভোর্স।

আজ এমন এক সময় এসেছে, যেখানে ঘণ্টায় যতগুলো বিয়ে হচ্ছে, তার চেয়েও বেশি সম্পর্ক ভেঙে যাচ্ছে। কেন?

এর পেছনে বড় একটি কারণ হিসেবে সোশ্যাল মিডিয়াকে অস্বীকার করা যায় না।

এক সময় ছিল প্রিয় মানুষটি কবে বাড়ি ফিরবে, কবে তার চিঠি আসবে—এই অপেক্ষার মধ্যেই ভালোবাসা বেড়ে উঠত। সেই অপেক্ষা, সেই আকুলতা, সেই ধৈর্য আজ আর নেই। এখন চাইলে মুহূর্তেই কল দেওয়া যায়, মেসেজ করা যায়। দূরত্ব কমেছে ঠিকই, কিন্তু সম্পর্কের গভীরতাও কমে গেছে।

আগে মানুষ কষ্ট পেলে সেই কষ্ট প্রিয়জনের সঙ্গে ভাগ করত। এখন সেই কষ্ট ভুলতে মানুষ রিলস দেখে, স্ক্রল করে, সোশ্যাল মিডিয়ায় ডুবে থাকে। সময় পেলে কাছের মানুষটিকে “নক” দেওয়ার বদলে ফোনের পর্দায় হারিয়ে যায়। এই নীরব অবহেলাই ধীরে ধীরে সম্পর্কের ভেতর দূরত্ব তৈরি করে।

আগে ফেসবুক ছিল না, পোস্ট ছিল না, কমেন্ট ছিল না।

আজ দেখা যায়—একজন মানুষ নিজের জীবনসঙ্গীর ছবিতে লাইক দেয় না, কিন্তু অন্যের নাচের ভিডিওতে “মাশাআল্লাহ”, “Wow” লিখে কমেন্ট করে। এই ছোট ছোট বিষয়গুলোই সম্পর্কের ভেতরে সন্দেহ, তুলনা আর অভিমান জন্ম দেয়।

যেখানে আগে পাশাপাশি বসে গল্প হতো, এখন সেখানে দুজন পাশাপাশি বসে শুধু ফোন ব্যবহার করে।

যেখানে আগে কথা বিনিময় হতো, এখন সেখানে রিলস ফরোয়ার্ড হয়।

আর শুরু হয় তুলনা—

“ও কত সুন্দর ছবি দেয়, তুমি পারো না।”

“ও কত স্টাইলিশ, তুমি এমন নও।”

একটা পরকীয়ার ভিডিও দেখেই বলা হয়—“তুমিও এর মতো করবা একদিন তাই না?"

এই তুলনাগুলো ভালোবাসা বাড়ায় না, বরং সম্পর্ককে ভেঙে দেয়। মানুষ ভুলে যায়—সোশ্যাল মিডিয়ায় যা দেখা যায়, তার বেশিরভাগই সাজানো, অভিনয় করা, ফিল্টার দেওয়া বাস্তবতা।

আমরা ফোনকে প্রাধান্য দিচ্ছি মানুষের চেয়ে,

স্ক্রলকে গুরুত্ব দিচ্ছি কথোপকথনের চেয়ে,

ভার্চুয়াল প্রশংসাকে গুরুত্ব দিচ্ছি বাস্তব ভালোবাসার চেয়ে—

তারপর অবাক হই, সম্পর্ক কেন টিকে না।

তবে সবাই এক নয়। সবাই পাল্টেও যায়নি।

আজও এমন মানুষ আছে, যারা সোশ্যাল মিডিয়ার ভিড়ের মাঝেও প্রিয়জনের হাতটা শক্ত করে ধরে রাখে।

আজও এমন মানুষ আছে, যারা ফোন নামিয়ে রেখে চোখে চোখ রেখে কথা বলে।

আজও এমন মানুষ আছে, যারা তুলনার বদলে বোঝার চেষ্টা করে, অবহেলার বদলে সময় দেয়, সন্দেহের বদলে বিশ্বাস রাখে।

তারা হয়তো সংখ্যায় কম, কিন্তু তারাই প্রমাণ করে—

সমস্যা যুগের নয়, সমস্যা মানসিকতার।

চাইলেই আজও সম্পর্ক বাঁচানো যায়,

চাইলেই আজও মানুষ মানুষের পাশে থাকতে পারে।

নইলে একদিন সত্যিই এমন সময় আসবে,

যখন ধরণীর বুকে পাশাপাশি থেকেও

আমরা কেউ কারো থাকবো না।
আমি Mayabi Ilmaz Megh, ই-নলেজ এর একজন যাচাইকৃত লেখক। আমি এই প্ল্যাটফর্মে যুক্ত আছি প্রায় 3 মাস 1 সপ্তাহ ধরে, এবং এ পর্যন্ত 121 টি লেখা ও 42 টি প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করেছি। আমার অর্জিত মোট পয়েন্ট 2494। ই-নলেজ আমার চিন্তা, জ্ঞান ও কণ্ঠকে সবার মাঝে পৌঁছে দিতে সহায়তা করেছে।
Enolej ID(eID): 2246
লেখাটি কপি করতে 'অনুলিপি' এ ক্লিক করুন।

এই ব্লগটির প্রতিক্রিয়া দিতে দয়া করে প্রবেশ কিংবা নিবন্ধন করুন ।

সংশ্লিষ্ট ব্লগগুচ্ছ


আমরা খুব দ্রুত সিদ্ধান্ত পৌঁছে যাই।  একজন মেয়ের ভুল মানেই – সব মেয়েই এমন।  একজন ছেলের ব্যর্থতা মানেই – সব ছেলেই অসদাচারী।  কিন্তু কখনোই কি প্রশ্ন করি– আমরা মানুষকে বিচার করছি, নাকি নিজের [...] বিস্তারিত পড়ুন...
12 বার প্রদর্শিত 0 টি প্রতিক্রিয়া
0 পছন্দ 0 অপছন্দ

image
তুমি কি কখনও এমন স্বপ্ন দেখেছো? যেটা হারিয়ে গেছে স্রোতের বিপরীতে? তবুও মনের গভীরে এ&#[...] বিস্তারিত পড়ুন...
41 বার প্রদর্শিত 0 টি প্রতিক্রিয়া
0 পছন্দ 0 অপছন্দ

image
সবি আছে, তবু যেন কিছু নেই মোহাম্মদ জাহিদ হোসেন  বিশ্লেষণধর্মী। ২২-১১-২০২৫ একটা একক[...] বিস্তারিত পড়ুন...
13 বার প্রদর্শিত 0 টি প্রতিক্রিয়া
0 পছন্দ 0 অপছন্দ

আপনার সন্তানকে কখনোই দেখার সাথে সাথেই জিজ্ঞেস করবেন না," তোমার পড়াশোনা কেমন চলছে? পরিক্ষার কি খবর?"আমরা প্রায়ই খাবার টেবিলে কিংবা সন্তানের সাথে দেখা হওয়ার সাথে সাথেই এই প্রশ্ন গুলো করি৷ আমাদ[...] বিস্তারিত পড়ুন...
18 বার প্রদর্শিত 0 টি প্রতিক্রিয়া
0 পছন্দ 0 অপছন্দ

জীবনসঙ্গী—শুধু একজন মানুষ নয়, বরং একজন সহযাত্রী, যার সঙ্গে কাটবে ভবিষ্যতের প্রতিটি[...] বিস্তারিত পড়ুন...
85 বার প্রদর্শিত 1 প্রতিক্রিয়া
0 পছন্দ 0 অপছন্দ
ই-নলেজ আইডিয়ায় আপনি নিজের লেখক প্রোফাইল তৈরি করে যেকোনো বিষয়ের উপর লিখতে পারেন। প্রতিটি লেখা থাকবে ইউনিক আইডি সহ, ইন্টারনেটে সার্চ করেও সহজে খুঁজে পাওয়া যাবে। পাবেন ব্যাজ, পয়েন্ট ও স্বীকৃতি—যা লেখক হিসেবে গড়ে তুলবে আপনার পরিচয়। এই প্ল্যাটফর্মে প্রতিভাবানরা একত্রিত হন, আর আপনি হয়ে উঠতে পারেন তাঁদের একজন। নিজের লেখাকে রাখুন নিজের নামে, নিজের প্রোফাইলে—চিরস্থায়ীভাবে।
  1. প্রিন্স ফ্রেরাসে

    2481 পয়েন্ট

    2 টি প্রতিক্রিয়া

    3 মন্তব্য

    123 টি আইডিয়া ব্লগ

  2. আল-মামুন রেজা

    1832 পয়েন্ট

    11 টি প্রতিক্রিয়া

    6 মন্তব্য

    90 টি আইডিয়া ব্লগ

  3. Mayabi Ilmaz Megh

    1656 পয়েন্ট

    37 টি প্রতিক্রিয়া

    8 মন্তব্য

    81 টি আইডিয়া ব্লগ

  4. মোহাম্মদ জাহিদ হোসেন

    1585 পয়েন্ট

    0 টি প্রতিক্রিয়া

    17 মন্তব্য

    78 টি আইডিয়া ব্লগ

...