লেখক বলেছেন-
মানুষকে বিভিন্নভাবে বিভ্রান্তি করা যায়-
১. ভুল ও ত্রুটিযুক্ত শব্দচয়ন
২. ক্লিয়ারলি না বলা
বিভ্রান্ত করার আরেকটি ইজিয়েষ্ট ওয়ে হচ্ছে-
--৩. ভিন্ন উদ্দেশ্যে কিছু উপস্থাপন করা।এরপর এই বর্জনীয় বিষয়গুলোকে গ্রহণযোগ্য কিছুর সাথে হালকা ভাবে সম্পর্কযুক্ত করার চেষ্টা করা।সব শেষে গ্রহণযোগ্য সেই শব্দগুলোকে ব্যবহার করে দায় এড়ানো।সাপও মরলো, লাঠিও ভাঙলো নাহ!
পাঠ্যবইয়ে এরকম সবগুলো মাধ্যম ব্যবহার করা হয়েছে বিভ্রান্ত করার জন্য।
★প্রথমত ভুল ও ত্রুটিযুক্ত শব্দচয়ন:
-এইক্ষেত্রে আপনি নিজেই বলেছেন "হ্যা এখানে একটা ভুল আছে সেটা হচ্ছে thirdgender এর জায়গায় trangender লেখা হয়েছে।"
আপনি গল্পের এইসব ত্রুটিগুলোকে স্বীকার করে কি বোঝাতে চাইছেন গল্পটি ত্রুটিহীন?
তাহলে ভুল শব্দচয় গল্পে আছে, সেটা ইচ্ছে করেই হোক বা ভুল করেই হোক, ত্রুটি মানে ত্রুটি।সেটা অপসারণ করার আহ্বান করা অন্যায়?
ভুল হয়েছে কেনো?ভুল যখন হয়েছেই,প্রতিবাদ তো হবেই।কারণ বিভ্রান্তি হচ্ছে।হিজড়া এর পরিবর্তে ট্রান্সজেন্ডার এর ধারণা শিখে ফেলছে।
★দ্বিতীয়ত ক্লিয়ারলি না বলা:
--"ছোটবেলায় সবাই আমাকে ছেলে বলতো" এর মাধ্যমে ছোট বাচ্চারা বুঝবে লোকটা ছেলে।
"আমার শরীরটা ছেলেদের মতো হলেও আমি **মনে মনে একজন মেয়ে** "
এতটা অস্পষ্ট! মনে মনে মেয়ে হতে হবে কেনো?শারীরিক ত্রুটি আছে উল্লেখ করলেই পারে, মনস্তাত্তিক বিষয় আনা হয়েছে- কি বিভ্রান্তি- স্পষ্টত চাইলেই ধরা যায় এটা ট্রান্সজেন্ডারদের গল্প।মনের গল্প আসলে পরে আসতে পারে সেটা বহুত পরের হিসাব,কিন্তু আগে বিষয়টা তো বোঝাতে হবে, সবকিছুরই ধারাবাহিকতা আছে, মাথার পর শরীর আসবে,বুক আসবে,পা আসবে অনেক পরে মাথার পরপরই পা নয়- বরং সেটা ভুল হবে। তার উপর এটা বাচ্চাদের বোঝানোর ব্যাপার স্যাপার! তাই না?শারীরিক ভাবে ছেলে তবে মনে মনে মেয়ে এটা বলার একটু পরে আবার লোকটি নিজেও বলেছে "আমরা হলাম ট্রান্সজেন্ডার"।
একে তো " ছেলেদের মতো" কিংবা "সবাই ছেলে বলতো" কি হিসেবে বলা হয়েছে তা বুঝতে গিয়েই মাথা নষ্ট,বাচ্চারা কিভাবে বুঝবে বরং উল্টোটা শিখবে- আসলেই ছেলে নাকি ওভাবে পরিচয় দেওয়া হয়েছে বলে ছেলে কথাটি আসছে তা ক্লিয়ার হয়নি,আবার "ছেলেদের মতো",কিন্তু " মনে মনে" এই কথার মাধ্যমেও উলটো বিভ্রান্তি তৈরি হয়।। এসব কথাগুলো হালকার উপর ঝাপসা করে বলা, তার উপর ছেলে হলেও "মনে মনে একজন মেয়ে" এসব বলা হয়েছে গল্পে।একটু পরেই "ট্রান্সজেন্ডার" শব্দটি সরাসরি ব্যবহার করা হয়েছে।
একটু হাইলাইট করি- প্রথমত ট্রান্সজেন্ডারদের মনস্তাত্তিক বিষয়কে উল্লেখ করেছে, এর পর সবচেয়ে সম্পর্কযুক্ত বিভ্রান্তির বিষয় "ট্রান্সজেন্ডার" কথাটির সরাসরি ব্যবহার, বিভ্রান্তিমূলক টার্মে অভ্যস্ত করা,নরমালাইজ করা ও প্রভাবিত করা,অত:পর দায় এড়ানোর জন্য "হিজড়া" জনগোষ্ঠীর একাংশ বলা প্রমাণ করে দেয় গল্পটির উদ্দেশ্য শুধুমাত্র হিজড়াদের গল্প বলা নয়, ট্রান্সজেন্ডার ধারণাটিকে ছড়িয়ে দেওয়া।
নতুন কোনো বিষয় ধারণার মাধ্যমেই সূত্রপাত ঘটে।
ক্লিয়ালি বলা নাই দেখেই এইসব বিভ্রান্তি,গল্পটি যেন সমকামিতার বলেই মনে হয়।তাই তো এই প্রতিবাদ, বিভ্রান্তিহীন বিষয় শেখানো হোক, সমকামিতা নয়।বিশেষ করে ৭ম শ্রেণীর বাচ্চাদের ক্ষেত্রে তো নয় ই।
★তৃতীয়ত, ভিন্ন উদ্দেশ্যে কিছু উপস্থাপন করা এরপর এই বর্জনীয় বিষয়গুলোকে গ্রহণযোগ্য কিছুর সাথে হালকা ভাবে সম্পর্কযুক্ত করার চেষ্টা করা:-
এই যে বললাম একটু আগে- নতুন একটি বিষয়ের ধারণা যেকোনোভাবেই হোক দেওয়া হয়েছে।এর পর গ্রহণযোগ্য "হিজড়া" জনগোষ্ঠীর সফলতার গল্প বলে ব্রেইনওয়াশ করার চেষ্টা, দায় এড়ানোর পথ সুগম করা।তারা নিশ্চই বোকা নয়,বহুত চালাক বটে।
আমার তো একটা বিষয় এখনও ঘ্যান ঘ্যান করছে "মনে মনে মেয়ে" - হোয়াট এ হালকার উপর ঝাপসা ও অস্পষ্ট ব্যাখ্যা!
আপনি কি বলতে চান "গল্পটির ভুল ত্রুটিযুক্ত শব্দচয়ন নেই"?
আপনি কি বলতে চান "শিক্ষার্থীদের উপযোগী গল্প ও ক্লিয়ারলি সব বলা আছ,এবং তা ত্রুটিহীনতার সাথে যাতে বিভ্রান্তি না ছড়ায়"?
আপনি কি বলতে চান " হিজড়াদের মতো শারীরিক ত্রুটির উপস্থাপনা ব্যতীত অন্য কিছু বেশী জোড়ালোভাবে বলা হয়নি যাতে বিভ্রান্তি হয়"?
যত বেশী বিভ্রান্তি,তত বেশী নেতিবাচকতায় প্রভাবিত হবে যুবসমাজ এবং তা এইরকম পাঠ্যবইয়ের গল্পের মাধ্যমে-
যেখানে "শারীরিক ভাবে ছেলে হলেও মনে মনে মেয়ে" এইরকম উল্টোভাবে প্যাচিয়ে অস্পষ্ট ধারণা দেয়,ফলে একটার কথা বলে আরেকটা জিনিস অবুঝ শিশুদের মনে গেথে দেয়।এতটাও হালকাভাবে নেওয়ার বিষয় নয় এটা।।সমকামিতা সম্পর্কিত কোনো কিছুই যেন শেখানো না হয়, এটা নিশ্চিত করা উচিত।ধন্যবাদ।