বাংলাদেশের সবচেয়ে সেরা ও ব্যতিক্রমী উন্মুক্ত ব্লগিং ফোরাম ই-নলেজ আইডিয়ায় আপনাকে সুস্বাগতম।জ্ঞান চর্চার এই প্ল্যাটফর্মে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ব্লগিং, লেখালেখি, আলোচনা, মতামত, ব্যাখ্যা, টিউটোরিয়াল তৈরি ইত্যাদি কার্যক্রম করে অবদান রাখতে পারবেন।জ্ঞানীদের আলোচনার কেন্দ্রে নিজেকে বিকাশিত করার পাশাপাশি কার্যক্রমে সম্মানের প্রতীক পয়েন্ট,ব্যাজ অর্জনের সুযোগ তো থাকছেই, আরও রয়েছে আইডিয়া গুরু খেতাব অর্জনের সুযোগ।এছাড়াও সেরাদের উৎসাহিত করার উদ্দেশ্যে আকর্ষণীয় পুরষ্কার প্রদান কার্যক্রমের ছোয়া তো রয়েছই বাংলাদেশের সবচেয়ে সেরা ও ব্যতিক্রমী এই প্ল্যাটফর্ম এ।আজই যোগ দিন!নিবন্ধন করতে এখানে ক্লিক করুন...।

লেখকঃ আব্দুল্লাহ আল মাহদি

আমি লেখক হয়েছি 1 মাস (since 01 এপ্রিল)
লেখকের ধরণ নিবন্ধিত লেখক
আমার পূর্ণ নাম: আবু মুহাম্মাদ আব্দুল্লাহ আলমাহদি
লিঙ্গ: male
পেশা:
আমার বর্তমান অবস্থান: Dhaka
প্রিয় উক্তি:

আব্দুল্লাহ আল মাহদি এর কার্যক্রম

স্কোরঃ 120 পয়েন্ট(র‌্যাংক # 7 )
ব্লগঃ 1
প্রতিক্রিয়াঃ 0
মন্তব্যসমূহঃ 0
ভোট দিয়েছেনঃ 0 টি ব্লগ
দান করেছেন: 0 সম্মত ভোট, 0 অসম্মত ভোট
প্রাপ্তঃ 0 সম্মত ভোট, 0 অসম্মত ভোট

আব্দুল্লাহ আল মাহদি এর সময়ক্রম

এই সদস্য তার সময়ক্রমে নতুন পোষ্ট করার অনুমতি বাতিল করেছেন
আলো-আঁধার!

পৃথিবীর সব মানুষ, সকল সম্প্রদায় নিজের আদর্শকে আলো এবং নিজেকে আলোকিত দাবি করে। সেই আলোর দিকে অন্যকে, অন্য জাতিকে আহবান করে। বস্তুত অধিকাংশ মানুষ ও অধিকাংশ জাতি আলো-আঁধার নির্ণয়ে ভুল করে। বরং অধিকাংশই আলোকে আঁধার এবং আঁধারকে আলো মনে করে বিভ্রান্ত হয় এবং বিভ্রান্ত করে।
 একারণেই আমরা দেখি পশ্চিমা সভ্যতার মতো নিকষ কালো আঁধারের যারা একনিষ্ঠ ঠিকাদার, তারাও ‘আলো’র নাম ধারণ করে মুসলিম সমাজে অন্ধকারের সয়লাব বইয়ে দেয়। সম’কা’মিতা,  ট্রা’ন্স’জে’ন্ডার, দেহব্যবসা ইত্যাদির মতো অন্ধকারকে মানবাধিকার, সৌন্দর্য ও আলো বলে প্রচার-প্রচলনের প্রাণান্তকর চেষ্টা করে।
.
আলো-আঁধার! -এটি একটি সিরিজের শিরোনাম। আল্লাহ যদি তাওফীক দান করেন, এখানে আমরা সংক্ষেপে আলো-আঁধার নিরূপণ এবং অর্জন ও বর্জন কিভাবে সম্ভব তা আলোচনা করার চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ।
{اللَّهُ وَلِيُّ الَّذِينَ آمَنُوا يُخْرِجُهُمْ مِنَ الظُّلُمَاتِ إِلَى النُّورِ وَالَّذِينَ كَفَرُوا أَوْلِيَاؤُهُمُ الطَّاغُوتُ يُخْرِجُونَهُمْ مِنَ النُّورِ إِلَى الظُّلُمَاتِ أُولَئِكَ أَصْحَابُ النَّارِ هُمْ فِيهَا خَالِدُونَ } [البقرة: 257]
“যারা ঈমান গ্রহণ করেছে, আল্লাহ তাঁদের বন্ধু। তিনি তাদের সমূহ অন্ধকার থেকে আলোতে বের করে আনেন। আর যারা কাফের, তাদের বন্ধু হচ্ছে তাগুত। যারা তাদেরকে আলো থেকে সমূহ অন্ধকারের দিকে বের করে নেয়। তারাই জাহান্নামের বাসিন্দা। তারা তাতে অনন্তকাল থাকবে।” –সূরা বাকারা: ২৫৭


হৃদয়টি আলোকিত করুন
ইমাম শাফেয়ি রহ. (মৃত্যু:২০৪হি.) বলেন,
مَن أحَبَّ أن يَفتَحَ اللهُ قَلبَهُ أو يُنَوِّرَهُ؛ فَعَلَيهِ بِتَركِ الكَلامِ فِيمَا لَا يَعنِيهِ، واجتِنَابِ المَعَاصِي، ويَكُونُ لَهُ خَبِيئَةٌ فِيمَا بَينَهُ وبَينَ اللهِ تَعَالَى مِن عَمَلٍ، وفِي رِوَايَةٍ : فَعَلَيهِ بالخَلوَةِ، وقِلَّةِ الأكلِ، وتَركِ مُخَالَطَةِ السُّفَهَاءِ، وبُغضِ أهلِ العِلمِ الَّذِينَ لَيسَ مَعَهُم إنصَافٌ ولا أدَبٌ. - المَجمُوعُ شَرحُ المُهَذَّب لِلنَّوَوِيِّ : ١ / ٣١
“যে ব্যক্তি চায়, আল্লাহ যেন তার অন্তর উন্মুক্ত ও আলোকিত করে দেন, তার উচিত অপ্রয়োজনীয় কথাবার্তা পরিহার করা। গুনাহ থেকে সম্পূর্ণরূপে দূরে থাকা এবং এমন কিছু গোপন নেক আমল করা, যা আল্লাহ ছাড়া কেউ জানবে না।
.
অন্য বর্ণনায় এসেছে, তার উচিত নির্জনতা অবলম্বন করা। কম আহার করা। নির্বোধ এবং এমন আলেমদের সংশ্রব বর্জন করা, যাদের মাঝে ইনসাফ ও আদব-লেহাজ নেই।” - আল মাজমূ’ শরহুল মুহাযযাব : ১/৩১
করেছেন আব্দুল্লাহ আল মাহদি 18 এপ্রিল
দারুল ইসলাম: হি*জ*র*তের স্বপ্ন সাধ!
.
ন্যায় ও ইনসাফের প্রতীক, মনুষ্যত্ব ও মানবতার আকর, জ্ঞান ও বিজ্ঞানের বাতিঘর, সকল কল্যাণ ও সুন্দরের আধার একটি দারুল ইসলামে হি*জ*র*ত এবং শরীয়াহ’র ছায়ায় বসবাসের তীব্র পিপাসা ও স্বপ্ন সাধ বহু দিনের। আমাদের কয়েক প্রজন্ম যেখানে পূর্ণাঙ্গ শরীয়াহ কত সুন্দর ও সুসম তা দেখার সুযোগ পায়নি, সেখানে দীর্ঘ এক শতাব্দী পর ফিরে পাওয়া এমন অমূল্য রত্ন হাতছাড়া করতে কার ইচ্ছে হয়?!
.
একজন মুসলিম যখন আজন্ম গণতন্ত্রের প্রতারণার শিকার হয়, শাসনের নামে ‘রুয়াইবিযা’দের মতো তা*গু*তের শোষণের হাতিয়ার হয়, মানবতার নামে আধুনিক জাহেলিয়াতের রোষানলে নিষ্পেষিত হয়, তখন তার এই বাসনা তীব্র থেকে তীব্রতর হয়। মুসলিম মাত্রই এমন স্বপ্ন লালন করা চাই এবং যাদের সুযোগ আছে তাদের অবশ্যই দারুল হা*র*ব ছেড়ে দারুল ইসলামে হি*জ*র*ত করা চাই।
.
অনেক বন্ধু বান্ধবই আমার মতো এমন আবেগ ও আকুতি নিয়ে হাজির হচ্ছেন! সকলেই সদ্য প্রতিষ্ঠিত দারুল ইসলাম আফগানিস্তানে হি*জ*র*ত করতে চাচ্ছেন। ভবিষ্যত প্রজন্মের ঠিকানা গড়তে চাচ্ছেন অনাবিল সুখের এই নিরাপদ ভূমিতে।
কিন্তু শরীয়ত বলে কথা!
শরীয়ত সর্বদাই আবেগের উপর শরীয়তের সঠিক বুঝকে প্রাধান্য দেয়। ছোট ফায়দার উপর বড় ফায়দাকে অগ্রাধিকার দেয়।
.
শরীয়ত যে দারুল হা*র*ব ছেড়ে দারুল ইসলামে হি*জ*র*ত করার নির্দেশ দেয়, সেই দারুল হা*র*বেই যদি দ্বীনের জন্য এবং ফরজ জি*হা*দের জন্য থাকা জরুরি হয়, সেখানেই থাকার হুকুম দেয়।
শরীয়তের দৃষ্টিতে:
দারুল ইসলামে হি*জ*র*ত করা যত বড় সওয়াব ও সৌভাগ্যের, শরীয়তের বিধান ও কিতালের জন্য দারুল হা*র*বে থেকে যাওয়া আরো বড় সওয়াবের আরো বড় সৌভাগের!
দ্বীনের জন্য দারুল হা*র*ব ত্যাগ করা যত বড় মর্যাদার, দারুল হা*র*বে থেকে দারুল হা*র*বকে দারুল ইসলামে রূপান্তরের চেষ্টা প্রচেষ্টা আরো অধিক মর্যাদার।
.
আমার কাছে অবশ্য মু*জা*হি*দ-মুরাবিতের নিরাপত্তাবেষ্টিত দারুল ইসলামের ক্লেশ ও দ্বেষহীন নিরাপদ ও সুখ স্বাচ্ছন্দ্যের জীবন অপেক্ষা দ্বীনের জন্য, মাজলুমের জন্য শত্রুর সঙ্গে লড়াই করে গাজি হয়ে বাঁচা কিংবা শ*হী*দ হয়ে মরার জীবনটা অধিক প্রাণবন্ত, রোমাঞ্চকর ও উপভোগ্য। আমরা চাই আফিয়াহ ও শাহাদাহ!
اللهم اجعلنا من سادات الشهداء ومن أهل الفردوس الأعلى!
করেছেন আব্দুল্লাহ আল মাহদি 02 এপ্রিল
দারুল ইসলাম ও দারুল হারব -একটি বক্তব্য : কিছু অসঙ্গতি
ইসলামের স্বর্ণযুগের পর থেকেই মুসলিম উম্মাহ তাদের গাফলত ও অবহেলার কারণে ধীরে ধীরে তাদের আপন ভূখণ্ডগুলো থেকে ক্ষমতা ও কর্তৃত্ব হারাতে শুরু করল। ক্রুসেডার, জায়নিস্ট ও পৌত্তলিক কাফের মুশরিকরা একে একে মুসলিম উম্মাহর ভূখণ্ডগুলো ছিনতাই করে দখলে নিতে থাকল। কাফের-মুশরিকরা তাদের এই কর্তৃত্ব ও ক্ষমতাকে স্থায়ীত্ব প্রদান করার জন্য এবং শঙ্কামুক্ত রাখার জন্য, আত্মরক্ষা, প্রতিরক্ষা, শাসনক্ষমতা ও কর্তৃত্ব সম্পর্কে মুসলমানদের মাঝে নানান তাহরীফ ও বিকৃতির অপপ্রচার চালাতে শুরু করল। অসাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির মেকি ফানুস দেখিয়ে ধর্ম যার যারা রাষ্ট্র সবার স্লোগান তুলল, ধর্মকে রাষ্ট্র থেকে বিচ্ছিন্ন করল এবং অন্যান্য ধর্মের মতো ইসলাম ধর্মকেও একটি বৈরাগী ও সেক্যুলার ধর্ম হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার অপপ্রয়াস চালাল। বহুলাংশে তারা সফলতাও লাভ করল।
.
ফলে মুসলমানদের মধ্যে, এমনকি দ্বীনের ধারক বাহক আলেমদেরও অধিকাংশ খেলাফত রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা ও খলিফা নিয়োগের ফরজ কার্যত ভুলেই গেল এবং ইসলাম ধর্মকে সম্পূর্ণই মাদরাসা মসজিদের চার দেয়ালে আবদ্ধ করে ফেললেন। এভাবে জগত ও জাগতিক বিষয়ে ইসলামের কর্তৃত্ব ও ভূমিকা শূন্যে নেমে আসল। সাধারণ তো সাধারণ, আলেমদের মাঝেও বিশাল একটি শ্রেণি তৈরি হল, যারা শত্রুর সুরে সুর মিলিয়ে রাষ্ট্র ও শাসনক্ষমতার সঙ্গে ন্যূনতম সম্পৃক্ত ইসলামী বিষয়গুলোর তাহরিফ ও বিকৃতি সাধন করে সেক্যুলার ও বৈরাগি ইসলামের আধুনিক সংস্করণ; মডারেট ইসলাম প্রতিষ্ঠায় মরিয়া হয়ে উঠল এবং বিনিময়ে তারা বিশ্বনেতাদের আশীর্বাদ লাভে ধন্য হল।
.
তাদের কারো মুখে আমরা শুনতে পাই, ইসলাম গণতন্ত্রকে সমর্থন করে। কারো মুখে শুনতে পাই, ইসলাম ধর্মনিরপেক্ষ ধর্ম। ইসলাম সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ধর্ম। যেই রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে খলীফা নিয়োগ করা তাদের ফরজ ছিল, উম্মাহর কর্ণধার হয়েও তাদের অনেকে সেই রাষ্ট্রক্ষমতা থেকে নিজেদের ‘বারাআত’ ও সম্পর্কহীনতা প্রমাণ করার জন্য মুখে ফেনা তুলে বলে বেড়াচ্ছেন, ‘আমরা ক্ষমতা চাই না, ক্ষমতার সঙ্গে আমাদের কোনো সম্পর্ক নেই; কোনো রকম ছেড়া চাটাইয়ে বসে নিরাপদে আমাদেরকে ‘কালাল্লাহ’ কালাররাসূল’ পড়িয়ে জীবনটা কাটিয়ে যেতে দিন’। আমরা অন্ধ অনুসারীরা ইসলাম বিধ্বংসী এই বক্তব্যগুলোকে ‘আহবার রুহবান’দের যুহুদ ও দুনিয়াবিরাগ হিসেবে সমাদর করে স্লোগানে স্লোগানে আকাশ বাতাস মুখরিত করে তুলছি। কেউ বলছেন, ইসলাম ধর্মে ইসলামী রাষ্ট্রের কোনো ধারণা নেই, এই ধারণা রাজাকার পাকিস্তানের সৃষ্টি! ইসলাম কোনো যমিনের গায়ে কালিমা লেখার জন্য আসেনি! ইসলাম সম্পূর্ণই ব্যক্তিগত বিষয়!
.
এ যেন রাসূলে করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সেই ভবিষ্যদ্বাণীর জীবন্ত প্রতিচ্ছবি, যাতে তিনি বলেছেন,
لتتبعن سنن من قبلكم شبرا بشبر وذراعا بذراع حتى لو سلكوا جحر ضب لسلكتموه قلنا يا رسول الله اليهود والنصارى قال فمن؟. صحيح البخاري، طبع دار ابن كثير ، اليمامة - بيروت، ص:3/1274
“নিশ্চয় তোমরা তোমাদের পূর্ববর্তীদের আদর্শ অনুসরণ করবে, বিঘতে বিঘতে, হাতে হাতে। এমনকি তারা যদি গুই সাপের গর্তে প্রবেশ করে থাকে, তবে তোমরাও তাতে প্রবেশ করবে। আমরা জিজ্ঞেস করলাম ইয়া রাসূলাল্লাহ! ইহুদি নাসারাদের কথা বলছেন? রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ওরা নয় তো কারা?”
দ্বীন ও শরীয়তের বিষয়ে তারা কী করেছিল? তার উত্তর দেখুন কোরআনে কারীমে,
فَبِمَا نَقْضِهِمْ مِيثَاقَهُمْ لَعَنَّاهُمْ وَجَعَلْنَا قُلُوبَهُمْ قَاسِيَةً يُحَرِّفُونَ الْكَلِمَ عَنْ مَوَاضِعِهِ وَنَسُوا حَظًّا مِمَّا ذُكِّرُوا بِهِ وَلَا تَزَالُ تَطَّلِعُ عَلَى خَائِنَةٍ مِنْهُمْ إِلَّا قَلِيلًا مِنْهُمْ. المائدة:13
ইবনে কাসির রহ.এর ব্যাখ্যা: “অত:পর তাদের অঙ্গীকার ভঙ্গের কারণে তাদের উপর যে শাস্তি নেমে আসল, আল্লাহ তার বিবরণ দিচ্ছেন। (তাদের অঙ্গীকার ভঙ্গের কারণে তাদেরকে আমি অভিশাপ করেছি) অর্থাৎ হেদায়াতের সত্য ও সঠিক পথ থেকে তাদের দূরে ঠেলে দিয়েছি। (এবং তাদের অন্তর কঠিন করে দিয়েছি।) ফলে তারা কোনো উপদেশ গ্রহণ করে না। (তারা শব্দগুলোর আসল অর্থ বিকৃত করে।) অর্থাৎ তাদের বোধ ও বুঝ শক্তি নষ্ট হয়ে গেছে। ফলে আল্লাহর আয়াতে তারা অযাচিত হস্তক্ষেপ শুরু করতে এবং আল্লাহর কিতাব বিকৃত করতে শুরু করেছে। (এবং তারা যা উপদিষ্ট হয়েছিল, তার আংশিক ভুলে গিয়েছে।) অর্থাৎ তা থেকে আগ্রহ হারিয়ে তার উপর আমল করা ছেড়ে দিয়েছে। (আপনি সর্বদা তাদের অল্পসংখ্যক ব্যতীত সকলকেই বিশ্বাসঘাতক হিসেবে দেখতে পাবেন।)” -সূরা মায়েদা: ১৩
.
প্রিয় পাঠক! মুসলিম সমাজের প্রতি একটু গভীরভাবে তাকিয়ে দেখুন! ইহুদি নাসারাদের এসব অপকর্মের সঙ্গে কত হুবহু মিলে গেছে আজকের মুসলিম সমাজ! তারা যেমন পরিপূর্ণ দ্বীন পালনের ওয়াদা করেও তা ভঙ্গ করেছিল, আমরাও ঠিক তাই করেছি। একেক ব্যক্তি, একেক কাফেলা নিজের পছন্দ ও ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ অনুযায়ী দ্বীনের কিছু অংশ ধরেছি, কিছু অংশ ছেড়ে দিয়েছি। ইমামত, খেলাফত, হুদূদ, কেসাস, কিতাল, আমর বিল মারূফ ও নাহি আনিল মুনকারসহ দ্বীনের কত অসংখ্য বিষয়ের প্রতি আগ্রহ হারিয়ে আমরা তা পরিত্যাগ করে চলেছি এবং আমাদের ভবিষ্যত পরিকল্পনা ও কর্মসূচী থেকেও বিষয়গুলো মুছে ফেলেছি।
.
আজব ব্যাপার হল মুসলিম উম্মাহ আজ শতধা বিভক্ত হলেও এবিষয়গুলো বাদ দেয়ার ক্ষেত্রে প্রায় সকল কাফেলাই ঐক্যবদ্ধ। ফলে আল্লাহ তাদের অন্তর যেমন কঠিন করে দিয়েছিলেন, আমাদের অন্তরও কঠিন করে দিয়েছেন। যার কারণে আমাদের ছেড়ে দেয়া অংশে যখন আমাদেরকে উপদেশ দেয়া হয়, তা নিজেদের প্রচলন ও অভ্যাসের বাইরে হওয়ায় তা আমরা গ্রহণ করি না, যেমন তারা গ্রহণ করেনি। তারপর আমাদের এই ভ্রষ্ট অবস্থানকে বিশুদ্ধ প্রমাণ করার জন্য দ্বীনের বিভিন্ন বিষয়ে আমরা তাহরিফ ও বিকৃতি সাধন করে চলেছি, যেমন তারা করেছে।
করেছেন আব্দুল্লাহ আল মাহদি 02 এপ্রিল
ট্রান্স-জেন্ডারও ‘অধিকার’?!
ভোগবাদীদের দর্শনে ভোগ ও স্বার্থের সকল উপায় উপকরণ এবং পথ ও পন্থাই অধিকার। সেটা বৈধ না অবৈধ, সভ্যতা না অসভ্যতা, শ্লীলতা না অশ্লীলতা, মানবতা না পাশবিকতা, গণদাবি না বিচ্ছিন্ন কিছু বিকৃত রুচির প্রবৃত্তি এই স-ব প্রশ্নই অবান্তর!
পক্ষান্তরে দায় ও দায়িত্ব এবং ত্যাগ ও বিসর্জনের সকল পথ ও পন্থা এবং উপায় উপকরণই সেকেলে, পশ্চতপদতা, ধর্মের অপব্যবহার ও উন্নয়নের পথে বাধা।
এজন্য ৯০% মুসলিম নাগরিকের গণদাবি, গণতান্ত্রিক অধিকারে স্থান না পেলেও গুটিকয়েক সমাজ-বিচ্ছিন্ন মানবরূপী পশুর বিকৃত পাশবিকতা তাদের দৃষ্টিতে সমাজের মানব শ্রেণির মানবিক অধিকার, নাগরিক অধিকার এবং গণতান্ত্রিক অধিকার! পর্দা, বাল্যবিয়ে, একাধিক বিয়ে যেখানে জুলুম ও কুৎসিত, সেখানে বহুগামিতা, যৌনবৃত্তি ও সমকামিতার মতো পাশবিকতার চেয়েও নিকৃষ্ট মানসিক বিকৃতি অধিকার এবং সকল সুন্দর ও কল্যাণের আধার!
দুঃখজনকভাবে আজ সেই দৃশ্যই লক্ষ করলাম বাংলাদেশের মতো মুসলিম অধ্যুষিত রাষ্ট্রের প্রথম সারির একটি টিভি চ্যানেলের টকশোতে। ট্রান্স-জেন্ডারের মতো নিকৃষ্ট ও সুস্পষ্ট মানসিক বিকৃতিও নাকি মানবিক অধিকার, গণতান্ত্রিক অধিকার! দেশ ও জনগণের উন্নয়ন এবং সৌন্দর্যের স্বর্ণদ্বার!! বিকারগ্রস্ত মানসিকতা ও প্রতিবন্ধী বোধ-বুদ্ধির উদাহরণ এভাবেই স্থাপন করতে হয়!!!
করেছেন আব্দুল্লাহ আল মাহদি 02 এপ্রিল
ই-নলেজ আইডিয়া ফোরামে আপনাকে সুস্বাগতম।জ্ঞান চর্চার অনন্য এই প্ল্যাটফর্মে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ব্লগিং, লেখালেখি, আলোচনা, মতামত, ব্যাখ্যা, টিউটোরিয়াল তৈরি ইত্যাদি কার্যক্রম করে অবদান রাখতে পারবেন।জ্ঞানীদের আলোচনার কেন্দ্রে নিজেকে বিকাশিত করার পাশাপাশি কার্যক্রমে সম্মানের প্রতীক পয়েন্ট,ব্যাজ অর্জনের সুযোগ তো থাকছেই, আরও রয়েছে আইডিয়া গুরু খেতাব অর্জনের সুযোগ।এছাড়াও সেরাদের উৎসাহিত করার উদ্দেশ্যে আকর্ষণীয় পুরষ্কার প্রদান কার্যক্রমের ছোয়া তো রয়েছই বাংলাদেশের সবচেয়ে সেরা ও ব্যতিক্রমী এই প্ল্যাটফর্ম এ।জ্ঞানার্জনের এই প্ল্যাটফর্মই হোক আপনার লেখালেখি ও জ্ঞানচর্চার কেন্দ্রবিন্দু।

    এই মাসে এ পর্যন্ত আইডিয়া গুরু হিসেবে কেউ মনোনীত হননি!

    ...