ই-নলেজ আইডিয়ায় আপনার লেখা জমা দিন
বাংলাদেশের সবচেয়ে সেরা ও ব্যতিক্রমী উন্মুক্ত ব্লগিং ফোরাম ই-নলেজ আইডিয়ায় আপনাকে সুস্বাগতম।জ্ঞান চর্চার এই প্ল্যাটফর্মে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ব্লগিং, লেখালেখি, আলোচনা, মতামত, ব্যাখ্যা, টিউটোরিয়াল তৈরি ইত্যাদি কার্যক্রম করে অবদান রাখতে পারবেন।জ্ঞানীদের আলোচনার কেন্দ্রে নিজেকে বিকাশিত করার পাশাপাশি কার্যক্রমে সম্মানের প্রতীক পয়েন্ট,ব্যাজ অর্জনের সুযোগ তো থাকছেই, আরও রয়েছে আইডিয়া গুরু খেতাব অর্জনের সুযোগ।এছাড়াও সেরাদের উৎসাহিত করার উদ্দেশ্যে আকর্ষণীয় পুরষ্কার প্রদান কার্যক্রমের ছোয়া তো রয়েছই বাংলাদেশের সবচেয়ে সেরা ও ব্যতিক্রমী এই প্ল্যাটফর্ম এ।আজই যোগ দিন!নিবন্ধন করতে এখানে ক্লিক করুন...।

শরিফ থেকে শরিফা হওয়ার গল্প - পাঠ্যবইয়ে কি ছড়ানো হচ্ছে?হিজড়াদের গল্প নাকি ট্রান্সজেন্ডার?

0 পছন্দ 0 অপছন্দ
3,743 বার প্রদর্শিত
করেছেন (743 পয়েন্ট) 24 জানুয়ারি "মতামত ও চিন্তাধারা" বিভাগে লেখা প্রকাশিত
info_outline
করেছেন 03 অক্টোবর সম্পাদিত
image

সোর্স-বাংলাদেশের শিক্ষাক্রম ৭ম শ্রেণীর ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান পাঠ্যবই - ২০২৪ সংস্করণ,বাংলা ভার্সন,৪০পৃষ্ঠা।

সাদৃশ্যপূর্ণ বিষয়কে গোলমাল পাকানো খুবই সহজ।গরুর বৈশিষ্ট্য লিখে শেষে সেটাকে ছাগল বললে যেমন তা ছাগল হয়ে যাবেনা,তেমনি ট্রান্সজেন্ডারদের বৈশিষ্ট্যকে হিজড়া বললে সেটাও হিজড়াদের গল্প হয়ে যাবেনা,ট্রান্সজেন্ডার ই বলতে হবে।ঠিক?


হিজড়া তো জন্মগত ত্রুটি নিয়ে জন্মগ্রহণ করে আমি এটাই জানি।যদি জানার ভুল থাকে তাহলে দয়া করে অবগত করিয়েন।

জন্মগত ত্রুটি নিয়ে হিজড়ারা জন্মগ্রহণ করলে সে তো জন্মের পর থেকেই হিজড়া।

তাহলে সে কেনো বললো "ছোটবেলায় সবাই আমাকে ছেলে বলতো"? জন্মগত ভাবে সে হিজড়া, তাহলে সবাই তাকে ছেলে বলতো কেনো?

"আমার শরীরটা ছেলেদের মতো হলেও আমি মনে মনে একজন মেয়ে" - সে হিজড়া হলে তার শরীর ত্রুটি পূর্ণ হবে, তাহলে ছেলেদের শরীর হলো কিভাবে?


মানে সাথে আরও বলল সে ছেলে তবে মনে মনে সে মেয়ে---

এখানে মনস্তাত্ত্বিক বিষয় দিয়ে সে হিজড়া কিনা তা বিবেচনা করবো কেনো?

সে কি ট্রান্সজেন্ডার যে সে শারীরিক দিক দিয়ে ছেলে হলেও মনের দিক দিয়ে মেয়ে, এসব কথা বলা লাগবে?

এগুলো কি পাঠ্যবইয়ের ঐ গল্পে বলা হয়নি?কেনো বলা হয়েছে?সেখানে তো হিজড়াদের বিষয়ে কথা হচ্ছে, তো এগুলো কি হিজড়াদের বৈশিষ্ট্য নাকি ট্রান্সজেন্ডারদের গল্প?


ট্রান্সজেন্ডারদের গল্প বলে শেষে হিজড়া ট্যাগ লাগিয়ে দিলেই তা হিজড়াদের বৈশিষ্ট্য হয়ে যাবে কিনা?

তাহলে তো বলা যেতেই পারে,

বইয়ে ট্রান্সজেন্ডারদের গল্প বলে শেষে "হিজড়া" ট্যাগ লাগিয়ে বিষয়টাকে নরমালাইজ করা হয়েছে?যাতে তারা দায় এড়াতে পারে।।ভুল বললাম?

তবে তা খন্ডায়ন করতে পারেন, বিষয়টাকে আপনি কিভাবে দেখবেন এখন?


ঐ যে বললাম না, গরুর বৈশিষ্ট্য বলে শেষে "ছাগল" ট্যাগ লাগালেই তা ছাগল হবে না, গরু কিন্তু গরু ই থাকবে এবং তা গরুর বিষয়টাকেই নরমালাইজ করার চেষ্টা।

বায়োলজিকালি একটা গরু যেমন কখনোই ছাগল হবে না,

তেমনি বায়োলজিকালি একটা ছেলে কিভাবে হিজড়া হয়?


যদি মনে করেন একজন হিজড়া জন্মের পর ছেলে থাকে,পরে সে হিজড়া হয়ে যায় তবে পুরো বিষয়টা অদৌন্তপন্ত আশা করি যথার্থভাবে বিশ্লেষণ করবেন।

নতুবা আশা করাই যায়, একসুরে আমরা প্রতিবাদী কন্ঠস্বর খোজে পাচ্ছি।


গণতান্ত্রিক দেশে সকলের মতামত মূল্যবান।

ধন্যবাদ।

ব্লগ পরিচিতি- শরিফ থেকে শরিফা হওয়ার গল্প - পাঠ্যবইয়ে কি ছড়ানো হচ্ছে?হিজড়াদের গল্প নাকি ট্রান্সজেন্ডার?

2 প্রতিক্রিয়া

একজন পাঠক (MD D H Khan) বলেছেন-

 যখন কোনো পরিবারে কোনো হিজরা শিশু জন্ম নেয় তখন তার দৈহিক বৈশিষ্ট্যের উপর নির্ভর করে তাকে ছেলেদের নাম বা মেয়েদের নাম দেয়া হয় যেহেতু তার শারীরিক ত্রুটি রয়েছে । এবং গল্পের চরিত্র শরীফার ক্ষেত্রেও সেটাই ঘটেছে। কারণ তার শরীল বা দৈহিক বৈশিষ্ট্য ছেলেদের মতো ছিল। আসলে সে কি সত্তা পোষণ করছে এটা তার মানসিক বিকাশ হওয়ার পর বুঝা যায়। আর আমাদের সমাজের হিজরাদের যখন মানসিক বিকাশ ঘটে তখন সে তাদের মা বাবার চাপিয়ে দেওয়া সত্তাকে নাও মানতে পারে। যার ফলে তারা সমাজ এবং পরিবার হারা হয়। এটা আমাদের দেশে ৯০% হিজড়াদের ক্ষেত্রে হচ্ছে। 

আর গল্পের শেষের দিকে শরীফা কিন্তু বলছে "আমরা কোন পুরুষ বা নারী নয় " আমরা হচ্ছি থার্ডজেন্ডার।  এখানে আসিফ মাহতাবের ট্রানজেন্ডারের প্রসঙ্গটা এক ধরণের অপ্রাসঙ্গিক হয়ে গেল না। শরীফা যদি ট্রানজেন্ডারই হতেন তাহলে এখানে তাকে রুপান্তরিত নারী বা রুপান্তরিত পুরুষ হিসেব উপস্হাপন করা হতো।

যাই হোক 

 আমার পোষ্টটিব হচ্ছে বইয়ে যে গল্পটা দেওয়া হইছে ঐটা কোনো ট্রানজেন্ডারকে ইঙ্গিত করে না বরং থার্ডজেন্ডারকে ইঙ্গিত করে। আসিফ মাহতাব এটাকে ভুলভাবে উপস্থাপন করে আমাদের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করেছেন। দেশের সকল মানুষ কি বলছে এটা জরুরী না। কোনটা সঠিক এটা জানা জরুরী। মানুষকে অনুকরণ সবসময় সঠিক নাও হতে পারে। 

করেছেন (743 পয়েন্ট) 26 জানুয়ারি প্রতিক্রিয়া প্রদান

লেখক বলেছেন-

মানুষকে বিভিন্নভাবে বিভ্রান্তি করা যায়-

১. ভুল ও ত্রুটিযুক্ত শব্দচয়ন

২. ক্লিয়ারলি না বলা

বিভ্রান্ত করার আরেকটি ইজিয়েষ্ট ওয়ে হচ্ছে-

--৩. ভিন্ন উদ্দেশ্যে কিছু উপস্থাপন করা।এরপর এই বর্জনীয় বিষয়গুলোকে গ্রহণযোগ্য কিছুর সাথে হালকা ভাবে সম্পর্কযুক্ত করার চেষ্টা করা।সব শেষে গ্রহণযোগ্য সেই শব্দগুলোকে ব্যবহার করে দায় এড়ানো।সাপও মরলো, লাঠিও ভাঙলো নাহ!


পাঠ্যবইয়ে এরকম সবগুলো মাধ্যম ব্যবহার করা হয়েছে বিভ্রান্ত করার জন্য।


★প্রথমত ভুল ও ত্রুটিযুক্ত শব্দচয়ন:

-এইক্ষেত্রে আপনি নিজেই বলেছেন "হ্যা এখানে একটা ভুল আছে সেটা হচ্ছে thirdgender এর জায়গায় trangender লেখা হয়েছে।"image

আপনি গল্পের এইসব ত্রুটিগুলোকে স্বীকার করে কি বোঝাতে চাইছেন গল্পটি ত্রুটিহীন?

তাহলে ভুল শব্দচয় গল্পে আছে, সেটা ইচ্ছে করেই হোক বা ভুল করেই হোক, ত্রুটি মানে ত্রুটি।সেটা অপসারণ করার আহ্বান করা অন্যায়?

ভুল হয়েছে কেনো?ভুল যখন হয়েছেই,প্রতিবাদ তো হবেই।কারণ বিভ্রান্তি হচ্ছে।হিজড়া এর পরিবর্তে ট্রান্সজেন্ডার এর ধারণা শিখে ফেলছে।



★দ্বিতীয়ত ক্লিয়ারলি না বলা:

--"ছোটবেলায় সবাই আমাকে ছেলে বলতো" এর মাধ্যমে ছোট বাচ্চারা বুঝবে লোকটা ছেলে।

"আমার শরীরটা ছেলেদের মতো হলেও আমি **মনে মনে একজন মেয়ে** "

এতটা অস্পষ্ট! মনে মনে মেয়ে হতে হবে কেনো?শারীরিক ত্রুটি আছে উল্লেখ করলেই পারে, মনস্তাত্তিক বিষয় আনা হয়েছে- কি বিভ্রান্তি- স্পষ্টত চাইলেই ধরা যায় এটা ট্রান্সজেন্ডারদের গল্প।মনের গল্প আসলে পরে আসতে পারে সেটা বহুত পরের হিসাব,কিন্তু আগে বিষয়টা তো বোঝাতে হবে, সবকিছুরই ধারাবাহিকতা আছে, মাথার পর শরীর আসবে,বুক আসবে,পা আসবে অনেক পরে মাথার পরপরই পা নয়- বরং সেটা ভুল হবে। তার উপর এটা বাচ্চাদের বোঝানোর ব্যাপার স্যাপার! তাই না?শারীরিক ভাবে ছেলে তবে মনে মনে মেয়ে এটা বলার একটু পরে আবার লোকটি নিজেও বলেছে "আমরা হলাম ট্রান্সজেন্ডার"।

একে তো " ছেলেদের মতো" কিংবা "সবাই ছেলে বলতো" কি হিসেবে বলা হয়েছে তা বুঝতে গিয়েই মাথা নষ্ট,বাচ্চারা কিভাবে বুঝবে বরং উল্টোটা শিখবে- আসলেই ছেলে নাকি ওভাবে পরিচয় দেওয়া হয়েছে বলে ছেলে কথাটি আসছে তা ক্লিয়ার হয়নি,আবার "ছেলেদের মতো",কিন্তু " মনে মনে" এই কথার মাধ্যমেও উলটো বিভ্রান্তি তৈরি হয়।। এসব কথাগুলো হালকার উপর ঝাপসা করে বলা, তার উপর ছেলে হলেও "মনে মনে একজন মেয়ে" এসব বলা হয়েছে গল্পে।একটু পরেই "ট্রান্সজেন্ডার" শব্দটি সরাসরি ব্যবহার করা হয়েছে।


একটু হাইলাইট করি- প্রথমত ট্রান্সজেন্ডারদের মনস্তাত্তিক বিষয়কে উল্লেখ করেছে, এর পর সবচেয়ে সম্পর্কযুক্ত বিভ্রান্তির বিষয় "ট্রান্সজেন্ডার" কথাটির সরাসরি ব্যবহার, বিভ্রান্তিমূলক টার্মে অভ্যস্ত করা,নরমালাইজ করা ও প্রভাবিত করা,অত:পর দায় এড়ানোর জন্য "হিজড়া" জনগোষ্ঠীর একাংশ বলা প্রমাণ করে দেয় গল্পটির উদ্দেশ্য শুধুমাত্র হিজড়াদের গল্প বলা নয়, ট্রান্সজেন্ডার ধারণাটিকে ছড়িয়ে দেওয়া।


নতুন কোনো বিষয় ধারণার মাধ্যমেই সূত্রপাত ঘটে।

ক্লিয়ালি বলা নাই দেখেই এইসব বিভ্রান্তি,গল্পটি যেন সমকামিতার বলেই মনে হয়।তাই তো এই প্রতিবাদ, বিভ্রান্তিহীন বিষয় শেখানো হোক, সমকামিতা নয়।বিশেষ করে ৭ম শ্রেণীর বাচ্চাদের ক্ষেত্রে তো নয় ই।



★তৃতীয়ত, ভিন্ন উদ্দেশ্যে কিছু উপস্থাপন করা এরপর এই বর্জনীয় বিষয়গুলোকে গ্রহণযোগ্য কিছুর সাথে হালকা ভাবে সম্পর্কযুক্ত করার চেষ্টা করা:-


এই যে বললাম একটু আগে- নতুন একটি বিষয়ের ধারণা যেকোনোভাবেই হোক দেওয়া হয়েছে।এর পর গ্রহণযোগ্য "হিজড়া" জনগোষ্ঠীর সফলতার গল্প বলে ব্রেইনওয়াশ করার চেষ্টা, দায় এড়ানোর পথ সুগম করা।তারা নিশ্চই বোকা নয়,বহুত চালাক বটে।

আমার তো একটা বিষয় এখনও ঘ্যান ঘ্যান করছে "মনে মনে মেয়ে" - হোয়াট এ হালকার উপর ঝাপসা ও অস্পষ্ট ব্যাখ্যা!


আপনি কি বলতে চান "গল্পটির ভুল ত্রুটিযুক্ত শব্দচয়ন নেই"?

আপনি কি বলতে চান "শিক্ষার্থীদের উপযোগী গল্প ও ক্লিয়ারলি সব বলা আছ,এবং তা ত্রুটিহীনতার সাথে যাতে বিভ্রান্তি না ছড়ায়"?

আপনি কি বলতে চান " হিজড়াদের মতো শারীরিক ত্রুটির উপস্থাপনা ব্যতীত অন্য কিছু বেশী জোড়ালোভাবে বলা হয়নি যাতে বিভ্রান্তি হয়"?


যত বেশী বিভ্রান্তি,তত বেশী নেতিবাচকতায় প্রভাবিত হবে যুবসমাজ এবং তা এইরকম পাঠ্যবইয়ের গল্পের মাধ্যমে-

যেখানে "শারীরিক ভাবে ছেলে হলেও মনে মনে মেয়ে" এইরকম উল্টোভাবে প্যাচিয়ে অস্পষ্ট ধারণা দেয়,ফলে একটার কথা বলে আরেকটা জিনিস অবুঝ শিশুদের মনে গেথে দেয়।এতটাও হালকাভাবে নেওয়ার বিষয় নয় এটা।।সমকামিতা সম্পর্কিত কোনো কিছুই যেন শেখানো না হয়, এটা নিশ্চিত করা উচিত।ধন্যবাদ।

করেছেন (743 পয়েন্ট) 26 জানুয়ারি মন্তব্য করা হয়েছে

লেখক পাঠকের আরেকটি পোষ্টে বলেছিলেন:-

বিষয়গুলো সঠিকভাবে বুঝতে হলে পাঠ্যবইয়ের গল্পটিকে আরও সঠিকভাবে উপস্থাপন করা দরকার। গল্পে শরীফার বর্ণনায় ট্রান্সজেন্ডারদের বৈশিষ্ট্যগুলোর উপর এত বেশি জোর দেওয়া উচিত নয়। 

গল্পে শরীফার বর্ণনায় ট্রান্সজেন্ডারদের বৈশিষ্ট্যগুলোর উপর এত বেশি জোর দেওয়া হয়েছে যাতে এই ভুল ধারণাটি ছড়িয়ে পড়ার পথ সুগম হয়। গল্পে বলা হয়েছে যে শরীফার শরীর ছেলেদের মতো হলেও সে মনে মনে একজন মেয়ে। এই বর্ণনা থেকে শিক্ষার্থীরা মনে করতে পারে যে হিজড়ারা হলেন এমন ব্যক্তিরা যারা শারীরিকভাবে পুরুষ হলেও মনে মনে মেয়ে।

আর তার উপর তাদের আইকিউ,জ্ঞান বড়দের মতো যৌক্তিক নয়।

কেন বলছি একথা,কি কারণে বলছি এগুলো খন্ডায়ন করেছি আপনার পূর্বের পোষ্টে, কমেন্টের প্রতিউত্তরে।

এত বড় লেখা এক কমেন্টে বলা সম্ভব নয় দু তিন ভাগ করে পোষ্ট করেছি।আশা করি বিভ্রান্তি থেকে আমরা দূরে থাকতে পারবো।প্রতিবাদী কন্ঠস্বরের জোড়ালো রূপ তৈরি হবে।


পাঠক প্রতিউত্তর দিয়েছেন:-

বইয়ে এই লাইটিই বিতর্কিত।  আর সব ঠিক আছে। 

এডিট করে আরও বলেছেন-


আর গল্পে কোনো পরিবর্তন হবে না।  এটা নিশ্চিত।  কারণ আমরা নিজেরা না জেনে অসাধু লোকদের কথা শুনে নিজেরাই পানি ঘোলাটে করছি। আমার মাঝে মাঝে হাসি পায়। বইয়ে তো এর চেয়েও ধর্মীয় সাংঘর্ষিক বিষয় আছে।  ঐটা নিয়ে প্রতিবাদ না করে হিজড়া নিয়ে প্রতিবাদ করছে কেন?  এদের তো প্রত্যেকটি ধর্মের স্বীকৃতি আছে।

করেছেন (743 পয়েন্ট) 27 জানুয়ারি প্রতিক্রিয়া প্রদান

লেখক বলেছেন:-

কোনোটাই যথার্থভাবে ঠিক নেই বলে মনে হয়।শুধুমাত্র এই একটি লাইন নিয়ে আমি ব্যাখ্যা করিনি অন্যদের মতো।প্রতিটা বিষয় লাইন বাই লাইন ধরেছি যেগুলো তোলে ধরা দরকার।এখানে পুন:আলোচনা করাটা কষ্ট:কর।


আপনার উপরিক্ত মন্তব্যে সংশোধন করে সংযোজন করেছেন, অত:পর আমার সংযোজিত বক্তব্য:-

যদিও আলোচ্য বিষয়টিকে ছোটখাটো বলছিনা তবে যদি মনে করেন এর চেয়েও আরও ধর্মীয় সাংঘর্ষিক বিষয় রয়েছে- তবে নিজেই স্বীকার করলেন বইয়ে ধর্মীয় সাংঘর্ষিক বিষয় নিয়ে লেখা হয়।সেগুলোও তোলে ধরুন, কিন্তু সেগুলো থাকলেও আলোচ্য বিষয়কে নিয়ে কথা বলবোনা এমন কিছু?

একটি সমস্যার গুরুত্ব তার তুলনামূলক গুরুত্বের উপর নির্ভর করে না। একটি ছোট সমস্যাও সমাধান করা গুরুত্বপূর্ণ।

দুটি ভুলের মধ্যে একটি ভুলকে অন্য ভুলের চেয়ে কম গুরুত্ব দেওয়া উচিত নয়।

কিন্তু আপনি বলছেন গল্পে কোনও পরিবর্তন করা হবেনা।আমি বলবো- ক্ষতিকর টপিক বইয়ে প্রচার করলে অত:পর সেখানে পরিবর্তন আনা না হলে তখন সেটাকে জনগণ অবশ্যই বয়কট করবে৷ এবং করছেও।

করেছেন (743 পয়েন্ট) 27 জানুয়ারি মন্তব্য করা হয়েছে

সংশ্লিষ্ট ব্লগগুচ্ছ


image
ভোগবাদীদের দর্শনে ভোগ ও স্বার্থের সকল উপায় উপকরণ এবং পথ ও পন্থাই অধিকার। সেটা বৈধ না অবৈধ, সভ্যতা না অসভ্যতা, শ্লীলতা না অশ্লীলতা, মানবতা না পাশবিকতা, গণদাবি না বিচ্ছিন্ন কিছু বিকৃত রুচির প্�[...] বিস্তারিত পড়ুন...
123 বার প্রদর্শিত 0 টি প্রতিক্রিয়া
0 পছন্দ 0 অপছন্দ

image
আমরা প্রত্যেকেই জানি, সুস্থ থাকতে আমাদের দাঁত পরিষ্কার রাখা অত্যন্ত জরুরি। প্রতিদিন দু’বেলা দাঁত ব্রাশ করলে দাঁতের নানান সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। কিন্তু কখনও কি ভেবে দেখেছেন, হিংস[...] বিস্তারিত পড়ুন...
6 বার প্রদর্শিত 0 টি প্রতিক্রিয়া
0 পছন্দ 0 অপছন্দ

image
প্লাস্টিক, আমাদের বহুল ব্যবহৃত দব্যাদির একটি। আমরা প্রত্যেকেই বলতে গেলে একরম প্লাস্টিকের যুগে বাস করছি।খাবার প্যাকিং থেকে শুরু করে খেলনা, সবকিছুতেই প্লাস্টিকের ছোঁয়া বিদ্যমান। কিন্�[...] বিস্তারিত পড়ুন...
45 বার প্রদর্শিত 0 টি প্রতিক্রিয়া
0 পছন্দ 0 অপছন্দ

সাধারণ কতগুলো আইন আমরা জানি, বুঝি, সমাজের মানুষ যানে যে এগুলো বেআইনি।এসব সাধারণ নিয়মের ব্যতিরেকে যখন অপরিচিত নতুন ধরণের কোনো অপরাধের সুচনা কিংবা প্রচলন সমাজে শুরু হয়, তখন মানুষ হয়তোবা নিজে�[...] বিস্তারিত পড়ুন...
104 বার প্রদর্শিত 0 টি প্রতিক্রিয়া
0 পছন্দ 0 অপছন্দ

image
হিপনিক জার্ক! ঘুমের মধ্যে বা স্বপ্নের মধ্যে কোন উঁচু স্থান থেকে পড়ে যাওয়ার ভয়ে শরীর ঝাঁকুনি দিয়ে ঘুম ভেঙে যাওয়াকে হিপনিক জার্ক বলা হয়! বিশ্বের প্রায় ৭০% মানুষ জীবনে একবার হলেও এই অভিজ্ঞত[...] বিস্তারিত পড়ুন...
52 বার প্রদর্শিত 0 টি প্রতিক্রিয়া
0 পছন্দ 0 অপছন্দ
ই-নলেজ আইডিয়া ফোরামে আপনাকে সুস্বাগতম।জ্ঞান চর্চার অনন্য এই প্ল্যাটফর্মে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ব্লগিং, লেখালেখি, আলোচনা, মতামত, ব্যাখ্যা, টিউটোরিয়াল তৈরি ইত্যাদি কার্যক্রম করে অবদান রাখতে পারবেন।জ্ঞানীদের আলোচনার কেন্দ্রে নিজেকে বিকাশিত করার পাশাপাশি কার্যক্রমে সম্মানের প্রতীক পয়েন্ট,ব্যাজ অর্জনের সুযোগ তো থাকছেই, আরও রয়েছে আইডিয়া গুরু খেতাব অর্জনের সুযোগ।এছাড়াও সেরাদের উৎসাহিত করার উদ্দেশ্যে আকর্ষণীয় পুরষ্কার প্রদান কার্যক্রমের ছোয়া তো রয়েছই বাংলাদেশের সবচেয়ে সেরা ও ব্যতিক্রমী এই প্ল্যাটফর্ম এ।জ্ঞানার্জনের এই প্ল্যাটফর্মই হোক আপনার লেখালেখি ও জ্ঞানচর্চার কেন্দ্রবিন্দু।
  1. alihasan০১

    100 পয়েন্ট

    0 টি প্রতিক্রিয়া

    0 মন্তব্য

    0 টি আইডিয়া ব্লগ

  2. khan76

    100 পয়েন্ট

    0 টি প্রতিক্রিয়া

    0 মন্তব্য

    0 টি আইডিয়া ব্লগ

  3. বাংলাদেশ

    100 পয়েন্ট

    0 টি প্রতিক্রিয়া

    0 মন্তব্য

    0 টি আইডিয়া ব্লগ

  4. উমর আব্দুল্লাহ

    100 পয়েন্ট

    0 টি প্রতিক্রিয়া

    0 মন্তব্য

    0 টি আইডিয়া ব্লগ

...