জীবনে এমন সময় আসে যখন মানুষ শুধু নাম দিয়ে কাওকে চিনবে না। বরং তারা চিনবে তার ব্যক্তিত্ব,কাজ,চিন্তা ও আচরণ দিয়ে। তাই নিজেকে এমন ভাবে তৈরি করো,যেন কোথাও পরিচয় দিতেই না হয়–
মানুষ তোমাকে দেখলেই যেন বলতে পারে, আরে এ তো সেই ব্যক্তি।
নিজেকে তৈরি করা মানে কেবল বাহ্যিক সৌন্দর্য নয়,এটা হলো মনের দৃঢ়তা,চরিত্রের শুদ্ধতা, জ্ঞান,মানবিকতা আর সাহসকে গড়ে তোলা।
দৃঢ়তা –যখন সবাই হার মানছে,তখনও নিজের পথে দাড়িয়ে থাকা।
উদারতা– অন্যের কষ্টে পাশে দাঁড়ানো,বিনা স্বার্থে ভালো থাকা।
জ্ঞান –শুধু বইয়ের পাতায় নয়,জীবন থেকে শেখা বুদ্ধিমত্তা।
সাহস–ভয়কে অতিক্রম করে নিজের স্বপ্নের দিকে এগিয়ে যাওয়া।
অনেকে ভিড়ের মধ্যে থেকেও আলাদা হয়ে ওঠে। তাদের উচ্চস্বরে কথা বলতে হয় না,কিন্তু উপস্থিতিতেই বোঝা যায়–এরা আলাদা।
কাজে,আচরণে,চিন্তায় তারা এমন ছাপ রেখে যায় যে আলাদা করে পরিচয় দেওয়ার প্রয়োজন পড়ে না। নিজের শক্তি খুঁজে নাও,নিজের লক্ষ্য ঠিক করো। নিজের চরিত্রকে এমন ভাবে গড়ে তোলো যাতে মানুষ তোমাকে দেখেই বুঝে যায়–এটা শুধু একজন পরিচিত মুখ নয়,একজন স্মরণীয় মানুষ।
নাম বড় না,কাজ বড়। পরিচয় মুখে নয় ,কাজে। আর সবচেয়ে বড় কথা –নিজেকে তৈরি করার এই যাত্রায় সবচেয়ে বড় দায়িত্ব আর সবচেয়ে বড় প্রতিদ্বন্দ্বী তুমি নিজেই।
নিজেকে এমন ভাবে তৈরি করো,যেন একদিন তোমার নাম বলার আগেই মানুষ তোমাকে চিনে ফেলে।