Enolej Idea-তে লেখা প্রকাশের নিয়ম জানতে পূর্ণ নির্দেশনা দেখুন...
ই-নলেজ আইডিয়া হলো এমন একটি চিন্তানির্ভর প্ল্যাটফর্ম, যেখানে মানুষ শুধু তথ্য নয়, চিন্তা শেয়ার করে। এখানে জ্ঞানীরা একত্র হন, নতুনরা পথ খুঁজে পান, এবং সবাই মিলে তৈরি হয় একটি জ্ঞানভিত্তিক উম্মাহ। এটি জ্ঞানচর্চাকে দৈনন্দিন জীবনের অংশ বানানোর একটি প্রচেষ্টা, যেখানে লেখা, ভাবা ও শেখা—সবই হয় মুক্তভাবে।আজই যোগ দিন!নিবন্ধন করতে এখানে ক্লিক করুন...।
সাজেস্টেড: পড়াশোনা, লেখালেখি, বিজ্ঞান

কন্টেন্ট রাইটিং কী ও মানসম্মত কন্টেন্ট লেখার কৌশল।

0 পছন্দ 0 অপছন্দ
124 বার প্রদর্শিত
করেছেন (390 পয়েন্ট)   19 মে "আত্মউন্নয়ন" বিভাগে লেখা প্রকাশিত
info_outline
করেছেন 19 মে সম্পাদিত

পোষ্ট আইডি কার্ড↓ - লেখনীর স্বত্ব ও গুণের পরিচয়!

আপনারা সবাই কন্টেন্টের নাম কম বেশি শুনেছেন কিন্তু What is Content ?এই সম্পর্কে আপনারা হয়তো জানেন, তবুও আর একবার পড়ার অনুরোধ করছি।আজকে আমি আপনাদের কন্টেন্ট কী ও কীভাবে একটা মানসম্মত কন্টেন্ট লিখতে হয় সে সম্পর্কে পরিস্কার ধারণা দিব।

 

Content ইংরেজী শব্দ। এর অর্থ হলো বিষয়বস্তু। Content হলো, কোন একটি বিষয়ের উপর বিস্তারিত বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরার মাধ্যম বা প্রক্রিয়া।অথাৎ কন্টেন্ট হচ্ছে কোন একটি বিষয় কে সহজ সরল ভাবে মার্জিত ভাষায় উপস্থাপন করা।যা পড়া মাত্রই মানুষ বিষয়টির সম্পর্কে জানতে পারে।ব্যাপক অর্থে কনটেন্ট বা বিষয়বস্তু হলো একটি নির্দিষ্ট বিষয়ের ওপর বিভিন্ন রকম তথ্যের সংকলন (সংযোগ বা একত্র করা), যা বিভিন্ন মাধ্যম ব্যবহার করে পাঠক বা দর্শকের বোঝার উপযোগী করে তৈরি করা হয়। বইয়ের গল্প, নাটক, সিনেমা, খবর, গান—এ সবগুলোই হচ্ছে কনটেন্ট।কন্টেন্ট হতে পারে যে কোন বিষয়ের উপর।সেটি হতে পারে ছবি, ভিডিওগ্রাফী, লিখিত কনটেন্ট, অ্যানিমেশন, অডিও পডকাস্ট, পিপিটি, ডক ফাইল, পিডিএফ ফাইল ইত্যাদি। তবে বর্তমান সময়ে সবচেয়ে বেশি প্রচলিত Content হলো লিখিত কনটেন্ট।একটা

মানসম্মত কন্টেন্ট লেখার কৌশলসমূহ নিম্নরুপ-


১।প্রথমে কী বিষয়ে আপনি কন্টেন্ট লিখতে চাচ্ছেন তা নির্বাচন করতে হবে।এটি হতে পারে ইতিহাস- ঐতিহ্য,সংস্কৃতি,দর্শনীয় স্থান,বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি,বৃক্ষ ও বন অথবা যেকোনো বিষয়ে।ধরুন আপনি দর্শনীয় স্থান নিয়ে কন্টেন্ট লিখতে চাচ্ছেন আর আপনি কুয়াকাটাকে বিষয় হিসেবে নির্বাচন করেছেন।কুয়াকাটা হবে আপনার কন্টেন্ট শিরোনাম বা বিষয়বস্তু।


২।কন্টেন্ট রাইটার হতে হলে প্রথমেই আপনাকে প্রচুর পরিমাণে রিসার্চ করার মানসিকতা তৈরি করতে হবে।রিসার্চ করতে না পারলে কখনোই আপনি একটা ভালো ইনফর্মেটিভ আর্টিকেল বা কন্টেন্ট লিখতে পারবেন না। রিসার্চ করা বলতে বোঝাচ্ছি, আপনি যেই টপিকটা নিয়ে লিখতে চাচ্ছেন,সেটা সম্পর্কে আগে রিসার্চ করে ভালো করে জানুন।এক্ষেত্রে আপনি গুগলে সার্চ ও ইউটিউবে ভিডিও দেখতে পারেন,এছাড়া অন্য কোনো উৎস থেকে রিসার্চ করতে পারেন।তারপর ওই টপিকটার উপর একটা পূর্ণাঙ্গ ইনফর্মেশনে ভরা কন্টেন্ট লিখে ফেলুন।সঠিক তথ্য এবং উপাত্ত সংগ্রহ করে আপনি আপনার কনটেন্টের মান বৃদ্ধি করতে পারেন।


৩।১৫০/২০০ শব্দের মধ্যে কন্টেন্টটি লিখতে হবে।খেয়াল রাখব কন্টেন্ট যেন খুব বেশি ছোট বা খুব বেশি বড় না হয়।আপনি চাইলে ১টা প্যারায় লিখতে পারেন আবার ২/৩ বা তার অধিক প্যারায়ও লিখতে পারেন।


৪।যেকোনো কাজের শুরুটা খুব গুরুত্বপূর্ণ।কাজটা কী রকম হবে সেটা অনেকদিক থেকে নির্ভর করে কাজটা কিভাবে শুরু করা হয়েছিল সেটার উপর।কন্টেন্ট লেখার ব্যাপারেও এটা সত্যি। 

যদি আপনার কন্টেন্টের প্রথম প্যারাটা ভালো না হয়, প্রথম প্যারাতেই আপনি রিডারকে হুক করাতে না পারেন, তাহলে রিডার প্রথম প্যারা পড়েই চলে যাবে। বাকি অংশটুকু পড়বেনা। তাই একজন দক্ষ কন্টেন্ট রাইটার হিসেবে আপনার কাজ হচ্ছে প্রথম প্যারাতেই রিডারকে হুক করে ফেলা।কোনো কিছু লেখার আগে পাঠক,তার আগ্রহ ও দৃষ্টিভঙ্গি সম্পর্কে পজিটিভ ইম্প্রেসন ক্রিয়েট করার প্রতি জোর দেওয়া উচিত।


৫।কন্টেন্ট লেখার সময় সবচেয়ে বেশি যেটাকে গুরুত্ব দিতে হবে তা হলো পাঠকের আগ্রহ।চেষ্টা করবেন কন্টেন্টের প্রথম ও শেষের দিকে পাঠকদের কাছে আকর্ষণীয় করে তুলে ধরার।যেন আপনার কন্টেন্ট পড়ে পাঠক আনন্দ পায় এবং অনেক কিছু শিখতে পারে।আর আপনার লেখা পড়ে পাঠক মুগ্ধ হয় এবং পুনরায় আপনার লেখা পড়তে আগ্রহী হয়।


৬।অনেক বেশি বেশি পড়ুন। যত বেশি পড়বেন, তত বেশি আপনার ভালো লেখতে পারার দক্ষতা বাড়বে।শুধু বই পড়ার কথা বলছি না, ইন্টারনেটে প্রত্যেকটা টপিকের উপর হাজার হাজার আর্টিকেল, ব্লগ পোস্ট আছে। আপনি যেই বিষয়ে ইন্টারেস্টেড, সে বিষয়ের আর্টিকেল, ব্লগ পোস্ট পড়া শুরু করুন।এতে শুধু আপনার ভোকাবুলারি বাড়বে না, আপনি কিভাবে ইন্টারেস্টিং ওয়েতে লিখতে হয় তাও শিখতে পারবেন।


৭।কনন্টেট এর ভাষায় শব্দের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করুন যাতে পাঠক এর বোধগম্য হয়।সহজ ও স্পষ্ট ভাষা ব্যবহার করুন।বানানের দিকে বিশেষ নজর দিবেন বানান যেন ভুল না হয়।ব্যাকারণগত ভুল পরিহার করুন।


৮।কন্টেন্ট লেখার সময় তাড়াহুড়ো করে লিখবেন না।আপনি বেশি সময় নিয়ে কন্টেন্ট লিখলে লেখা মানসম্মত হবে।


৯।কন্টেন্ট লিখতে প্রচুর ধৈর্য প্রয়োজন।ধৈর্যশীলতা আপনাকে দক্ষ কন্টেন্ট রাইটার হিসেবে গড়ে তুলবে।


১০।লেখালেখির প্রতি প্যাশন থাকা একজন কন্টেন্ট রাইটারের জন্য অত্যাবশ্যক।


১১।কন্টেন্টের শেষের দিকে তথ্যসূত্র বা রেফারেন্স আপনার কন্টেন্টটিকে অনন্যমাত্রা দান করবে।


১২।প্লাগারিজম পরিহার করুন।অন্যের লেখা হুবহু কপি করবেন না।নিজের মেধা,পরিশ্রম ও আত্মবিশ্বাকে কাজে লাগান।নিজের সৃজনশীলতা ও চিন্তাভাবনা কন্টেন্টে ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করুন যা আপনার কন্টেন্টকে অন্যান্য কন্টেন্ট রাইটারদের থেকে ইউনিক করে তুলবে।


১৩।কন্টেন্ট লেখা শেষে কয়েকবার নিজে পড়ে দেখুন কোনো ভুল ভ্রান্তি হয়েছে কিনা,বানান ঠিক আছে কিনা,সঠিক তথ্য দিয়েছেন কিনা।প্রয়োজনে অভিজ্ঞ কারো কাছ থেকে আপনার লেখা দেখিয়ে নিতে পারেন এতে ভুলের সম্ভাবনা কমে যাবে।


১৪।বিভিন্ন উৎস থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ও উপাত্ত সংগ্রহ করুন।এক্ষেত্রে লক্ষ রাখবেন আপনার তথ্য যেন নির্ভরযোগ্য উৎস থেকে সংগ্রহ করা হয়।


১৫।কন্টেন্ট লেখা খুবই সোজা এতে ভয় পাওয়ার কিছু নেই।লেখালেখির সাথে লেগে থাকুন।ভয়কে জয় করতে পারলে আপনি একসময় কন্টেন্ট রাইটিং এক্সপার্ট হয়ে উঠবেন।


 ১৬।নিজের সামর্থ্যের ওপর আস্থাশীল থাকা খুবই জরুরি।মনে রাখবেন আপনি যেমন নতুন লেখালেখি শুরু করবেন অনেকেই আপনার মতোই নতুন।কেউ তো এখনো যাত্রা শুরুই করেনি এদিক থেকে আপনি অনেকের থেকে এগিয়ে।


📝Najat Mridha

image

আমি নাজাত মৃধা, ই-নলেজ এর একজন যাচাইকৃত লেখক। আমি এই প্ল্যাটফর্মে যুক্ত আছি প্রায় 4 সপ্তাহ ধরে, এবং এ পর্যন্ত 19 টি লেখা ও 0 টি প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করেছি। আমার অর্জিত মোট পয়েন্ট 390। ই-নলেজ আমার চিন্তা, জ্ঞান ও কণ্ঠকে সবার মাঝে পৌঁছে দিতে সহায়তা করেছে।
★[উৎস]: উক্ত লেখাটি মূল লেখক কর্তৃক প্রকাশিত। https://www.bikoallinone.com/gan_bistar/content_details/107/

ID: 998
লিংক কপি হয়েছে

2 প্রতিক্রিয়া

এটা একদমই সাধারণ কোনো লেখা নয়, বরং একজন কন্টেন্ট রাইটার হয়ে ওঠার প্রথম ধাপ! আপনার এই প্রচেষ্টা অনেক তরুণকে লেখালেখির দিকে আগ্রহী করে তুলবে, সন্দেহ নেই।এতো দ্রুত এখানে লেখকদের সমাগম হবে ভাবিনি, ভালো লাগছে।আমিও আবার লেখালেখি শুরু করবো এখানে।আপনাকে পাশে চাই।আমাকে লেখক প্রোফাইল ফলো করবেন প্লিজ।আমিও আপনাকে ফলো করেছি।
করেছেন (34 পয়েন্ট)   21 মে প্রতিক্রিয়া প্রদান
আপনাকে জাজাকিল্লহু খইরন সুন্দর মন্তব্য করার জন্য। আপনার চমৎকার কমেন্ট আমাকে উৎসাহিত করেছে এবং আরও উন্নত মানের কন্টেন্ট লিখতে সাহায্য করবে। আপনাকেও ফলো দিয়ে আপনার পাশে আছি। আমি আপনার কুয়েরির উত্তরগুলো পড়েছি, আপনি দুর্দান্ত লেখেন। অনেক শুভকামনা রইল আপনার জন্য। আর Freelancing এর ব্যাপারে আপনার থেকে জানতে আগ্রহ প্রকাশ করছি। সাপোর্ট করার জন্য আবারও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।
করেছেন (390 পয়েন্ট)   21 মে মন্তব্য করা হয়েছে

বাহ, ইতিমধ্যেই ১০৯ জন আপনার লেখাটি দেখেছেন!

লেখাটি সত্যিই দারুণ হয়েছে।

আপনার পরবর্তী লেখাগুলোর অপেক্ষায় রইলাম—চলুন লেখা দিয়ে আমরা ভাবনা ও জ্ঞানের আলো ছড়াই!<3

করেছেন (798 পয়েন্ট)   21 মে প্রতিক্রিয়া প্রদান

সংশ্লিষ্ট ব্লগগুচ্ছ


আমরা আমাদের সমাজে এমন অনেক মানুষ দেখি যারা ছোট ছোট কথায় রেগে যায় হয়তো আপনাকে বকাবকি করে আপনার উপরে প্রচুর রাগ দেখায়‌ কিন্তু আবার খুব সহজে রাগটা কমে যায় কিছুক্ষণ পরে অথবা আপনি যদি কিছুট[...] বিস্তারিত পড়ুন...
12 বার প্রদর্শিত 0 টি প্রতিক্রিয়া
0 পছন্দ 0 অপছন্দ

ইগো শব্দটা আমরা সবাই শুনেছি।ইগো হচ্ছে একজন ব্যক্তির কাছে তার নিজের পরিচয় বা আত্মপরিচয়।। এই কি গো যখন অতিরিক্ত হতে শুরু করে তখন মানুষটি নিজেকে অনেক বড় ভাবতে শুরু করে ইগো বেশি হয়ে যাওয়া [...] বিস্তারিত পড়ুন...
30 বার প্রদর্শিত 0 টি প্রতিক্রিয়া
0 পছন্দ 0 অপছন্দ

“Crying is a complex behavior characterized by the shedding of tears from the lacrimal apparatus, often in response to emotional states such as sadness, joy, or frustration.”  Vingerhoets, A. J. J. M. (2013). কান্না এ শব্দটির সঙ্গে আমরা সবাই পরিচিত। এটি [...] বিস্তারিত পড়ুন...
34 বার প্রদর্শিত 0 টি প্রতিক্রিয়া
0 পছন্দ 0 অপছন্দ

         রাগের আদ্যোপান্ত  ‘রাগ ‘ শব্দটির সঙ্গে আমরা সবাই কমবেশি পরিচিত। এটি মানুষে&#[...] বিস্তারিত পড়ুন...
16 বার প্রদর্শিত 0 টি প্রতিক্রিয়া
0 পছন্দ 0 অপছন্দ

অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাড়াতে কজনই পারে?অথচ বেশীরভাগ লোকেরাই নিজেকে অনেক জ্ঞানী মনে করে। চিন্তাধারা এমন, যেন ইতিহাসও রচনা করতে পারবে। নিজে ভয় পেয়ে অন্যায়ের পক্ষে যে সাফাই গায়, তাহলে তাদে[...] বিস্তারিত পড়ুন...
140 বার প্রদর্শিত 0 টি প্রতিক্রিয়া
0 পছন্দ 0 অপছন্দ
ই-নলেজ আইডিয়ায় আপনি নিজের লেখক প্রোফাইল তৈরি করে যেকোনো বিষয়ের উপর লিখতে পারেন। প্রতিটি লেখা থাকবে ইউনিক আইডি সহ, ইন্টারনেটে সার্চ করেও সহজে খুঁজে পাওয়া যাবে। পাবেন ব্যাজ, পয়েন্ট ও স্বীকৃতি—যা লেখক হিসেবে গড়ে তুলবে আপনার পরিচয়। এই প্ল্যাটফর্মে প্রতিভাবানরা একত্রিত হন, আর আপনি হয়ে উঠতে পারেন তাঁদের একজন। নিজের লেখাকে রাখুন নিজের নামে, নিজের প্রোফাইলে—চিরস্থায়ীভাবে।
  1. নাফিসা হাসনীন

    20 পয়েন্ট

    0 টি প্রতিক্রিয়া

    0 মন্তব্য

    1 আইডিয়া ব্লগ

  2. সিরাজুর রহমান

    20 পয়েন্ট

    0 টি প্রতিক্রিয়া

    0 মন্তব্য

    0 টি আইডিয়া ব্লগ

  3. তুশিতা রিহা

    10 পয়েন্ট

    0 টি প্রতিক্রিয়া

    0 মন্তব্য

    0 টি আইডিয়া ব্লগ

  4. আশিক চৌধুরী

    2 পয়েন্ট

    0 টি প্রতিক্রিয়া

    0 মন্তব্য

    0 টি আইডিয়া ব্লগ

...