পর্ব ৭: অজস্র অঙ্গীকার
রাত নেমে এসেছে। অরণ্য নিঃশব্দ, কিন্তু প্রতিটি গাছ, প্রতিটি নদী, প্রতিটি পাতার মধ্যে যেন অজানা শক্তি কম্পমান। বাতাস নরম, কিন্তু শক্তিশালী—প্রতিটি শ্বাসের সাথে মনে হচ্ছে, অরণ্য তার ভেতরের অঙ্গীকার আঁকছে।
তিনি হাঁটছিলেন, পায়ের নিচে ভেজা মাটি নরম, আর প্রতিটি ধাপ যেন মনে করাচ্ছে—“ভেঙে পড়লেও তুমি শক্ত, হাল ছাড়ো না।” প্রতিটি গাছের শাখা, প্রতিটি পাতার দুল—সবই বলছে, “প্রতিটি পদক্ষেপই অঙ্গীকারের অংশ।”
নদীর স্রোত ধীরে বহমান, কিন্তু প্রতিটি ঢেউ শক্ত। নদী তার প্রেরণা দিচ্ছে—প্রতিটি অঙ্গীকার ভেতরে টিকে থাকলে, জীবন কখনো হারায় না। ঝড়, বৃষ্টি, ভাঙা পাতা—সবই এই অঙ্গীকারকে দৃঢ় করছে।
সে এক দীর্ঘশ্বাস নিল। মনে হলো, প্রতিটি অভিজ্ঞতা, প্রতিটি দুঃখ, প্রতিটি ক্ষতি—সবই এক ধীর, নীরব ক্যানভাসে অংকিত হচ্ছে। জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত, প্রতিটি অঙ্গীকার—সব মিলিয়ে অরণ্য তার ভেতরের সত্যকে শক্ত করে তুলছে।
পাখির ডাক নেই, বাতাস শান্ত, নদী ধীরে ধীরে নদী পথে চলতে থাকে। কিন্তু তার ভেতরের প্রতিজ্ঞা অজস্র—প্রতিটি মুহূর্ত, প্রতিটি পদক্ষেপ, প্রতিটি অনুভূতি তাকে বলছে—“ভেঙে পড়লেও, হারিয়ে গেলেও, তুমি চিরকাল টিকে থাকবে। তুমি নিজের শিকড় এবং অঙ্গীকারে স্থির।”
সন্ধ্যা থেকে রাতের নীরবতা, মৃদু আলো, এবং অরণ্যের নিঃশব্দ শক্তি মিলিয়ে তাকে শেখাল—অজস্র অঙ্গীকার কখনো ভাঙে না। মানুষের ভেতর সেই অঙ্গীকার কখনো নীরব থাকে, কিন্তু শক্ত।
সে থেমে দাঁড়াল। চোখ বন্ধ করে অনুভব করল, প্রতিটি পদক্ষেপ, প্রতিটি শ্বাস, প্রতিটি নীরব মুহূর্ত—সব মিলিয়ে তার অঙ্গীকার অজস্র অরণ্যের মতো অটুট। সে বুঝল—জীবনের প্রতিটি পরীক্ষা, প্রতিটি ঝড়, প্রতিটি ক্ষতি—সবই তাকে শুধুই শক্তিশালী করছে।
রাত গভীর হলো। অরণ্য নিঃশব্দ, কিন্তু প্রতিটি শিকড়, প্রতিটি নদী, প্রতিটি গাছ—সবই তার ভেতরের অঙ্গীকারের সাক্ষী। অজস্র অঙ্গীকার আঁকা হয়ে গেছে, এবং এটি চিরকাল স্থায়ী।