প্লাস্টিক, আমাদের বহুল ব্যবহৃত দব্যাদির একটি।
আমরা প্রত্যেকেই বলতে গেলে একরম প্লাস্টিকের যুগে বাস করছি।খাবার প্যাকিং থেকে শুরু করে খেলনা, সবকিছুতেই প্লাস্টিকের ছোঁয়া বিদ্যমান।
কিন্তু দৈনন্দিন জীবনে বহুল ব্যবহৃত এই প্লাস্টিক আমাদের সন্তানদের স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকি বাড়াচ্ছে নাতো?
এই সুবিধাজনক উপাদানটি কি আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য কোনো ক্ষতি করতে পারে?
চলুন বিস্তারিত জানার চেষ্টা করি...
প্লাস্টিকের কিছু উপাদান শিশুদের স্বাস্থ্যের উপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে এমন আশঙ্কা রয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বিতর্কিত বিষয় হল প্লাস্টিক ও অটিজমের সম্পর্ক।
প্লাস্টিকে বিভিন্ন ধরণের রাসায়নিক পদার্থের উপস্থিতি রয়েছে, তন্মধ্যে বিজ্ঞানীরা বলছেন এতে "বিসফেনল এ বা বিপিএ" (Bisphenol A, সংক্ষেপে BPA) নামক একটি রাসায়নিক পদার্থ রয়েছে, যা শিশুর স্বাস্থ্যে নেতিবাচক প্রভাব সৃষ্টি করতে পারে।
বিভিন্ন গবেষণার তথ্য অনুযায়ী বিজ্ঞানীরা মনে করেন যে গর্ভাবস্থায় মা যদি বিপিএ'র সংস্পর্শে আসেন, তাহলে তার ছেলে সন্তানের মধ্যে অটিজমের ঝুঁকি বাড়ার প্রবণতা তৈরি হয়।
কেন বিপিএ এতো ক্ষতিকর?
BPA আমাদের শরীরে হরমোনের মতো কাজে করে।শিশুর উচ্চ রক্তচাপে এটি অবদান রাখে বলে মনে করা হয়।এটি দেহের হরমোন উৎপাদন, নি:সরণ, পরিবহনে হস্তক্ষেপ করতে সক্ষম।ফলে শিশুর মস্তিষ্কের বিকাশে বাধা দিতে পারে...যা শিশুর মাঝে অসামঞ্জস্যতা তৈরি করে,ফলে অটিজমের মতো জটিলতা তৈরি করার সম্ভাবনা দেখা যায় বলে বিজ্ঞানীরা মনে করেন।
কোথায় পাওয়া যায় বিপিএ?
আমাদের আলোচ্য বহুল ব্যবহৃত প্লাস্টিকেই এই উপাদানের অস্তিত্ব রয়েছে।
অর্থাৎ যেহেতু পানীয়ের বোতল, খাবারের ডাবা, এবং অন্যান্য পণ্যে প্লাস্টিক ব্যবহার করা হয় সেহেতু এসব পণ্যে এই ক্ষতিকর উপাদানটি বিদ্যমান।
কি বলছে গবেষণা?
বিপিএ ও অটিজমের সম্পর্ক নিয়ে বহু গবেষণা হয়েছে। কিছু গবেষণা বিপিএ'র সাথে অটিজমের মধ্যে সরাসরি সম্পর্কের প্রমাণ পেয়েছে। অন্যদিকে, অনেক গবেষণায় এই সম্পর্কের স্পষ্ট প্রমাণ পাওয়া যায়নি। এই বিষয়ে আরও গভীর গবেষণার প্রয়োজন।
তবে অটিজম একটি জটিল রোগ এবং এর কারণ একাধিক হতে পারে। জিনগত কারণ, পরিবেশগত কারণ, এবং অন্যান্য রাসায়নিক পদার্থও অটিজমের জন্য দায়ী হতে পারে।
অভিভাবকদের উচিত সতর্ক থাকা এবং শিশুদের জন্য স্বাস্থ্যকর পরিবেশ তৈরি করার চেষ্টা করা।
-
Content Creation: Team 1
Id: 867
Designing: Team 2
Powered by Enolej Innovators.