মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর জন্মদিন, ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.), মুসলিম উম্মাহর জন্য অত্যন্ত পবিত্র ও গুরুত্বপূর্ণ একটি দিন। ৫৭০ খ্রিস্টাব্দে, আরবের মক্কা নগরীতে, এক সভ্রান্ত কুরাইশ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)।
তার জন্মের পূর্বে, আরব অন্ধকারে নিমজ্জিত ছিল। মূর্তিপূজা, অবিচার, হিংসা-বিদ্বেস, অশ্লীলতা—এসবই ছিল তাদের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। এই অন্ধকার যুগকে 'আইয়ামে জাহেলিয়াত' বা অজ্ঞতার যুগ বলা হতো। মানবতা হারিয়ে গিয়েছিল তার সঠিক পথ।
এই অন্ধকার যুগে আলোর সঞ্চার করতে মহান আল্লাহ তাআলা হযরত মুহাম্মদ (সা.) কে রাসুল হিসেবে প্রেরণ করেন। তিনি মানবতাকে সত্যের পথ দেখিয়েছেন, ন্যায়, সমতা ও ভ্রাতৃত্বের শিক্ষা দিয়েছেন। তাঁর আগমনের মাধ্যমে পৃথিবীতে এক নতুন যুগের সূচনা হয়—ইসলামের যুগ।
ইসলাম মানবতার জন্য এক আদর্শ জীবনব্যবস্থা উপহার দিয়েছে। এটি শুধু ধর্ম নয়, বরং জীবনের সকল দিককে পরিচালিত করে। ইসলাম শিখিয়েছে কীভাবে মানুষ সৃষ্টিকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করবে, কীভাবে সমাজের সঙ্গে মিশে থাকবে এবং কীভাবে নিজেকে পরিশুদ্ধ করবে।
ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) আমাদেরকে স্মরণ করিয়ে দেয় যে, আমরা কেমন এক মহান ব্যক্তিত্বের উম্মত। তাঁর জীবন ও বাণী আমাদের জন্য সর্বদা আদর্শ। আমাদের উচিত তাঁর জীবন ও বাণীকে অনুসরণ করে নিজেদেরকে গড়ে তোলা এবং সমাজকে উন্নত করা।
আসুন, আমরা সবাই মিলে ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) পালন করি। এই দিনটিতে আমরা মহানবী (সা.) এর প্রতি আমাদের ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা প্রকাশ করি। আমরা তাঁর জীবন ও বাণী সম্পর্কে আরো জানার চেষ্টা করি। এবং আমরা তাঁর শিক্ষা অনুযায়ী আমাদের জীবন গঠন করার প্রতিজ্ঞা করি।
আল্লাহ তাআলা আমাদের সবাইকে তাঁর রাসূল (সা.) এর সুন্নতের উপর অটল থাকার তৌফিক দান করুন। আমিন।