শিক্ষা কোনো নির্দিষ্ট ভূখণ্ডের বিষয় নয়—এটি একটি সার্বজনীন আয়োজন। প্রতিটি দেশ তার নিজস্ব ঐতিহ্য, প্রয়োজন ও বাস্তবতার আলোকে শিক্ষা কারিকুলাম তৈরি করে। তবে আশ্চর্যের বিষয় হলো, কিছু দেশ নিজেদের শিক্ষাব্যবস্থাকে এমনভাবে গড়ে তুলেছে যা আজ গোটা পৃথিবীর জন্য অনুকরণীয় হয়ে উঠেছে।
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে আমরা প্রায়ই নিজেদের সীমাবদ্ধতা ও সমস্যাগুলো নিয়ে আলোচনা করি, কিন্তু অন্য দেশের সফলতা বা ব্যর্থতা থেকে শিক্ষা নেওয়ার প্রবণতা এখনো তেমন জনপ্রিয় নয়। অথচ, উন্নত ও উন্নয়নশীল বহু দেশের শিক্ষা কাঠামো বিশ্লেষণ করলে আমরা জানতে পারি:
কোথায় শিক্ষার মূল লক্ষ্য ভিন্ন,
কোথায় ছাত্রদের চিন্তাশক্তি ও সৃজনশীলতা সবচেয়ে বেশি মূল্যায়িত,
কোথায় পরীক্ষার চেয়ে শেখা বেশি গুরুত্বপূর্ণ,
কোথায় শিক্ষকরা জাতি গঠনের প্রকৃত কারিগর হিসেবে স্বীকৃত।
এই সিরিজে কী থাকছে?
এই ব্লগ সিরিজে আমরা পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন দেশের শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা করব। প্রতিটি পর্বে থাকবে:
কারিকুলামের ধরন
মূল্যায়ন পদ্ধতি (যেমন: পরীক্ষা, প্রকল্প, উপস্থাপনা)
শিক্ষকের ভূমিকা ও প্রশিক্ষণ
প্রযুক্তির ব্যবহার
শিক্ষার্থীর মানসিক স্বাস্থ্য ও জীবনদক্ষতা
সমাজ ও কর্মজীবনের সাথে সংযোগ
বাংলাদেশের জন্য প্রাসঙ্গিক শিক্ষা
কোন কোন দেশ থাকছে এই সিরিজে?
আমরা পর্যালোচনা করব এমন কিছু দেশ:
ফিনল্যান্ড
জাপান
যুক্তরাষ্ট্র
সিঙ্গাপুর
দক্ষিণ কোরিয়া
ভারত
কানাডা
(পরবর্তীতে আরও যোগ হতে পারে: সুইডেন, জার্মানি, চীন, অস্ট্রেলিয়া, মালয়েশিয়া ইত্যাদি)
বাংলাদেশের জন্য এর গুরুত্ব কি?
বাংলাদেশে এখন নতুন কারিকুলাম বাস্তবায়নের সময় চলছে। এই সময়টাতেই দরকার গ্লোবাল পারসপেক্টিভ।
আমরা কীভাবে শিক্ষার মাধ্যমে চিন্তাশীল, কর্মক্ষম ও মানবিক নাগরিক তৈরি করতে পারি?
কোন দিকগুলো আমাদের বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থায় উপেক্ষিত রয়ে গেছে?
কোন দেশগুলো আমাদের জন্য ‘রোল মডেল’ হতে পারে?
এই প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজতেই এই ব্লগ সিরিজ।
পরবর্তী পর্বে থাকছে: "ফিনল্যান্ড – শিক্ষায় বিপ্লব"।
একটি দেশ কিভাবে পরীক্ষাহীন ও চাপমুক্ত শিক্ষাকে বিশ্বসেরা করে তুলল—চলুন শিখে নেই।
লেখক:
মাকসুদুল মুন্না,
নিবন্ধিত লেখক, ই-নলেজ।