বাংলাদেশের টেকশই উন্নয়ন অভীষ্ট অর্জনে চ্যালেঞ্জসমূহের মধ্যে প্রথমেই রয়েছে "দারিদ্র বিলোপ" এবং আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জ হচ্ছে "গুণগত শিক্ষা"।
সরকার নিশ্চই সকলের জন্য শিক্ষা নিশ্চিত করণে কাজ করে যাচ্ছেন,আমাদের প্রধানমন্ত্রী নিজেই বলেছেন-
"দারিদ্রমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে হলে সকলকে শিক্ষা গ্রহণ করতে হবে"।
সকলের জন্য শিক্ষা, কিন্তু তা অর্জনের জন্য অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় যদি করতেই হয় তবে যারা গরিব তাদের ক্ষেত্রে "সকলের জন্য শিক্ষা" কথাটা কতটুকু যুক্তিযুক্ত তা আমার জানা নেই।
সাধারণ মানুষের টাকার গাছ নেই- তবে কেন স্কুলমূখী শিক্ষার্থীরা কোচিং,প্রাইভেটমুখী হয়ে যাচ্ছে?
শিক্ষার্থীদের যদি প্রাইভেটমূখী জীবণ গড়ে ওঠে তবে "স্কুল জীবণ" বলতে মূলত কি তা আমার কাছে বোধগম্য নয়।
স্কুলের শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের এমনভাবে পড়াতে পারে, যাতে ছাত্ররা তাতে আস্থা ফিরে পেতে পারে, যদি স্কুলের প্রতি সেরকম আস্থা-ই থাকে তবে কে ই বা স্কুল ছেড়ে অযথা সময় এবং অর্থ খরচ করবে যেখানে আমাদের দেশে দারিদ্রের হার বেশী?
প্রাইভেটমূখী শিক্ষা ব্যবস্থা কিভাবেই বা দূরীভূত হবে যেখানে বেশীরভাগ স্কুল শিক্ষকই শিক্ষার্থীদের প্রাইভেট পড়ানোতে অভ্যস্থ?
স্কুলেই যদি সঠিকভাবে পড়ানো হত তবে প্রাইভেট পড়ানোর কি প্রয়োজন তা আমার বোঝে আসে না।
নাম মাত্র কোনো একভাবে পড়িয়ে ফরয কাজ আদায় করার চিন্তাভাবনা নিয়ে স্কুল পরিচালনা করা অর্থাৎ শিক্ষার বাণিজ্যিকীকরণ এ আরও একধাপ এগিয়ে যাওয়া।এতে করে আমাদের যুবসমাজ কতটুকু সভ্য সমাজে অভ্যস্থ হবে, কতটুকুই বা শিখবে!
নিয়মিত স্কুলে আসা, পড়াশোনা ও তাকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীদের স্বাভাবিক জীবণ অর্থাৎ ছাত্র জীবণ বলতে যা কল্পনায় আসে তা এখন প্রায় নিঃশেষিত।এখন যেটা কল্পনায় আসে সেটা হলো স্কুলে ভর্তি হওয়া শুধুমাত্র পরীক্ষা দিয়ে সার্টিফিকেট অর্জন করার জন্য, আর বাকিটা প্রাইভেট, কোচিং এর ভরসায় থাকা।অর্থাৎ স্কুল জীবণ বলতে মূলত কোনটা সেটা আমার পক্ষে বোধগম্য নয়।
শিক্ষা যদি শিক্ষার্থীদের সঠিকভাবে দেওয়া না হয়, অনিয়ম ব্যবস্থায় অভ্যস্থ করানো হয়, তবে সেই শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ভবিষ্যত দিনের কর্ণধার হিসেবে অনিয়ম,দূর্নীতি ব্যতীত কি-ই বা আশা করা যায়?
নেতিবাচক কর্মকান্ড মানুষের বুদ্ধিমত্তার উপর নেতিবাচক ছাপ তৈরি করে,ফলে যে সেন্স টা কাজ করা উচিত সেই সেন্স টা কাজ করেনা।তখন সে পশুর ন্যায় আচরণ করে,যুক্ত হয় দুর্নীতির মতো দুষ্টচক্রে।
মানুষ মাত্রই ভূল, আমার চিন্তাধারায় ভূল থাকতেই পারে,আর তাই তো সকলের কাছে সেটা উপস্থাপন করা, সকলেই নিজ নিজ মতামত দিয়ে সঠিক দিকনির্দেশনা দিবেন।
ধন্যবাদ।
লেখা-
মোঃ আশরাফ উদ্দিন খান।