'সোক্রাটিয়া এক্সোরাইজা' নামক এক প্রজাতির খেজুর গাছ আছে যা ধীরে ধীরে 'হাঁটতে' পারে। এই অদ্ভুত প্রজাতির গাছ মধ্য ও দক্ষিণ আমেরিকার বৃষ্টি অরণ্যে পাওয়া যায়।
ইকুয়েডরের (Ecuador) রাজধানী কুইটো (Quito) থেকে ১০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত সুমাকো বায়োস্ফিয়ার। মূলত এই বায়োস্ফিয়ারেই বাস ক্যাশাপোনা পাম গাছের। সত্তরের দশকের শুরুর দিকে এই সংরক্ষিত অরণ্যে গবেষণা করতে গিয়ে আশ্চর্য এই উদ্ভিদ প্রজাতির সন্ধান পান স্লোভাক ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্সেসের গবেষক পিটার ভ্রানস্কি।
কীভাবে হাঁটে এই গাছ?
এই গাছের মূলের বৈশিষ্ট্যই এটিকে 'হাঁটার' ক্ষমতা দেয়। 'ওয়াকিং পাম' গাছের মূল মাটির উপরে উঁচুতে বেড়ে ওঠে এবং অনেকগুলো শাখা-প্রশাখা ছড়িয়ে পড়ে। সময়ের সাথে সাথে, গাছের পুরোনো মূলগুলো পচে নষ্ট হয়ে যায় এবং নতুন মূল গজায়। নতুন মূল গুলো গাছকে 'ইচ্ছামতো' দিকে ঠেলে নিয়ে যায়। যেমন, যদি গাছটি পর্যাপ্ত সূর্যালোক না পায়, তাহলে নতুন মূল গুলো সূর্যের দিকে বেড়ে উঠবে এবং গাছটিকে সেই দিকে ঠেলে নিয়ে যাবে।
পরিসংখ্যান ও গবেষণা বলছে প্রতিদিন দেড় থেকে দু সেন্টিমিটার সরণ হয় সেই গাছের। কখনও আবার দিনে ৩ সেন্টিমিটার পর্যন্তও অবস্থান পরিবর্তন করতে সক্ষম ওয়াকিং পাম। বছরের হিসাবে এই দূরত্ব কম নয় মোটেই। সাধারণত নিজের অবস্থান ২০ মিটার পর্যন্ত সরে যায় এই গাছ।
Team Enolej