(জটিলতা এড়াতে লেখাটি হালনাগাদ করা হয়েছে)
আমাদের মস্তিষ্ক অসংখ্য স্নায়ু কোষ দিয়ে গঠিত। এই কোষগুলো একে অপরের সাথে জটিল নেটওয়ার্কের মতো যুক্ত থাকে। যখন আমরা নতুন কিছু শিখি বা কোনো ঘটনা মনে রাখার চেষ্টা করি, তখন এর মাঝে কিছু পরিবর্তন ঘটে।
★স্নায়ু সংযোগের পরিবর্তন:
নতুন সংযোগ:নতুন তথ্য শিখলে বা কোনো ঘটনা ঘটলে, স্নায়ু কোষগুলোর মধ্যে নতুন সংযোগ তৈরি হয়। একেই সিন্যাপস (synapse) বলে। এই নতুন সংযোগগুলোই আমাদের নতুন স্মৃতি সঞ্চয় করে।
পুরোনো সংযোগের শক্তিশালীকরণ: যতবার আমরা কোনো তথ্য মনে করার চেষ্টা করি, ততবার সেই তথ্যের সাথে যুক্ত সিন্যাপসগুলো আরও শক্তিশালী হয়। এভাবে স্মৃতি দীর্ঘস্থায়ী হয়।
★পুরোনো সংযোগের দুর্বলীকরণ: নতুন তথ্য শিখতে গিয়ে অনেক সময় পুরোনো তথ্যের সাথে যুক্ত সিন্যাপসগুলো দুর্বল হয়ে যায়। একেই সিন্যাপটিক প্রুনিং (synaptic pruning) বলে। এভাবে মস্তিষ্ক অপ্রয়োজনীয় তথ্যগুলোকে বাদ দিয়ে নতুন তথ্যের জন্য জায়গা করে দেয়।
★স্নায়ু কোষ ভাঙে না, বরং সংযোগ পরিবর্তিত হয়:
অনেক সময় ভুল ধারণা করা হয় যে, নতুন স্মৃতি তৈরি করতে স্নায়ু কোষ ভেঙে যায়। কিন্তু আসলে স্নায়ু কোষ ভেঙে যায় না, বরং স্নায়ু কোষের মধ্যকার সংযোগগুলোই শক্তিশালী বা দুর্বল হয়।
★কেন সিন্যাপটিক পরিবর্তন গুরুত্বপূর্ণ?
নতুন জ্ঞান অর্জন: সিন্যাপটিক পরিবর্তনের মাধ্যমে আমরা নতুন জ্ঞান অর্জন করি এবং আমাদের জীবনকে আরও সমৃদ্ধ করি।
~সমস্যা সমাধান:জটিল সমস্যা সমাধানের জন্য মস্তিষ্কের বিভিন্ন অংশের মধ্যে নতুন সংযোগ তৈরি হতে হয়।
~সৃজনশীলতা:নতুন ধারণা এবং সৃজনশীল কাজের জন্য সিন্যাপটিক পরিবর্তন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
★মস্তিষ্কের যত্ন:
স্বাস্থ্যকর খাদ্য: মস্তিষ্কের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ করার জন্য সুষম খাদ্য খান।
পর্যাপ্ত ঘুম: ঘুমের সময় মস্তিষ্ক নিজেকে মেরামত করে এবং নতুন স্মৃতি স্থায়ী করে।
ব্যায়াম: শারীরিকভাবে সক্রিয় থাকা মস্তিষ্কে রক্ত প্রবাহ বৃদ্ধি করে এবং নতুন স্নায়ু কোষ তৈরিতে সাহায্য করে।
মানসিক চাপ কমানো: ধ্যান, যোগব্যায়াম, বা গান শোনা ইত্যাদির মাধ্যমে মানসিক চাপ কমান।
নতুন জিনিস শেখা: নতুন ভাষা শেখা, বাদ্যযন্ত্র বাজানো বা কোনো নতুন দক্ষতা অর্জন করা মস্তিষ্কের জন্য খুবই উপকারী।
Updating Panel 3,
Team Enolej.