Enolej Idea-তে লেখা প্রকাশের নিয়ম জানতে পূর্ণ নির্দেশনা দেখুন...
ই-নলেজ আইডিয়া হলো এমন একটি চিন্তানির্ভর প্ল্যাটফর্ম, যেখানে মানুষ শুধু তথ্য নয়, চিন্তা শেয়ার করে। এখানে জ্ঞানীরা একত্র হন, নতুনরা পথ খুঁজে পান, এবং সবাই মিলে তৈরি হয় একটি জ্ঞানভিত্তিক উম্মাহ। এটি জ্ঞানচর্চাকে দৈনন্দিন জীবনের অংশ বানানোর একটি প্রচেষ্টা, যেখানে লেখা, ভাবা ও শেখা—সবই হয় মুক্তভাবে।আজই যোগ দিন!নিবন্ধন করতে এখানে ক্লিক করুন...।
সাজেস্টেড: পড়াশোনা, লেখালেখি, বিজ্ঞান

গনতন্ত্রের সূতিকাগার "এথেন্স নগরী"

0 পছন্দ 0 অপছন্দ
7 বার প্রদর্শিত
করেছেন (390 পয়েন্ট)   5 দিন পূর্বে "ইতিহাস" বিভাগে লেখা প্রকাশিত
পোষ্ট আইডি কার্ড↓ - লেখনীর স্বত্ব ও গুণের পরিচয়!

image এথেন্সকে গনতন্ত্রের সূতিকাগার বলা হয় এটা আমরা সবাই কম বেশি জানি বা শুনেছি।চলুন এথেন্স সম্পর্কে এবার কিছু অজানা তথ্য জানা যাক।

এথেন্স বিশ্বের সবচেয়ে প্রাচীন শহর এবং গ্রিসের রাজধানী।এটি অ্যাটিকা অঞ্চলের সবচেয়ে প্রভাবশালী শহর।শহরটির নামকরণ করা হয়েছিল প্রাচীন গ্রীক প্রজ্ঞার দেবী এথেনার (জিউসের কন্যা) নামে।এথেন্স ছিল প্রাচীন গ্রীসের অন্যতম শক্তিশালী নগর-রাষ্ট্র।মূলত এথেন্স ছিল গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র।এথেন্সে রাষ্ট্র পরিচালনায় তখন দুইটি সংসদ ছিল।গোত্র প্রধানদের নিয়ে গড়া সংসদকে বলা হত 'এরিওপেগাস' এবং সাধারণ নাগরিকদের সমিতিকে বলা হত 'একলেসিয়া'। এথেন্সে চূড়ান্তভাবে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেন পেরিক্লিস।পেরিক্লিস এথেন্সের ক্ষমতায় আসেন ৪৬০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দে।স্পার্টা ও এথেন্স উভয় দেশ একে অন্যের শত্রু ছিল।এথেন্স তার বন্ধু রাষ্ট্রগুলোকে নিয়ে একটি জোট গঠন করে।এর নাম হয় 'ডেলিয়ান লীগ'। অন্যদিকে স্পার্টা তাঁর বন্ধু রাষ্ট্রগুলোকে নিয়ে গঠন করে আরেকটি জোট।এ জোটের নাম হয় 'পেলোপনেসীয় লীগ'।এক সময় এই দুই জোটের মধ্য যুদ্ধ বেঁধে যায়।ইতিহাসে এ যুদ্ধ 'পেলোপনেসীয় যুদ্ধ'(৪৩১-৪০৪ খ্রিস্টপূর্ব ) নামে পরিচিত।৪৬০ - ৪০৪ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ পর্যন্ত মোট ৩ বার যুদ্ধ হয়।এ যুদ্ধে চূড়ান্ত পতন ঘটে এথেন্সের।৩৬৯ খ্রিষ্টপূর্বাব্দে এথেন্স চলে আসে স্পার্টার অধীনে।এরপর নগররাষ্ট্র থিবস দখল করে নেয় এথেন্স। ৩৩৮ অবস্থিত-খ্রিষ্টপূর্বাব্দে ম্যাসিডনের রাজা ফিলিপস থিবস অধিকার করে নেয়।খ্রিষ্টপূর্ব ৩৩৬ অব্দে দ্বিতীয় ফিলিপসের মৃত্যু হলে তার ছেলে আলেকজান্ডার ম্যাসিডনের সিংহাসনে আরোহণ করেন।১৮৩৪ সালে স্বাধীন গ্রিসের রাজধানী হিসেবে এথেন্স মানুষের মধ্যে পরিচিত হয়ে ওঠে।খ্রিষ্টপূর্ব ৫ম শতাব্দীকে এথেন্সের স্বর্ণযুগ বলা হয়।প্রাচীন গ্রীক দর্শন শাস্ত্রীয় এথেন্সে সমৃদ্ধ হয়েছি।সক্রেটিস, প্লেটো, অ্যারিস্টটল, এপিকিউরাস এবং স্পিউসিপ্পাস হলেন কয়েকজন মহান দার্শনিক এবং চিন্তাবিদদের নাম যারা এই শহরে বসবাস করেছিলেন এবং তাদের তত্ত্ব এবং ধারণাগুলি প্রণয়ন করেছিলেন,যার মধ্যে কিছু এখনও আধুনিক দিনে প্রভাবশালী।প্রাচীন বিশ্বের দর্শন ও বিজ্ঞানের দুটি সবচেয়ে বিশিষ্ট স্কুল এথেন্সে অবস্থিত ছিল 'একাডেমি' এবং 'লাইসিয়াম',প্রাচীন বিশ্বের দর্শন ও বিজ্ঞানের দুটি সবচেয়ে বিশিষ্ট স্কুল,যথাক্রমে প্লেটো এবং অ্যারিস্টটল দ্বারা প্রতিষ্ঠিত,এথেন্স শহরে অবস্থিত।আধুনিক পশ্চিমা সংস্কৃতির বেশিরভাগই প্রাচীন এথেন্সে এর শিকড় রয়েছে

হেরোডস অ্যাটিকাস

শিল্পকলা,দর্শন,বিজ্ঞান,স্থাপত্য এবং শহরের রাজনৈতিক ব্যবস্থা সবই পশ্চিমা বিশ্বকে গভীরভাবে প্রভাবিত করেছে।এই কারণেই এথেন্সকে 'পশ্চিমী সভ্যতার দোলনা' বলা হয়।ম্যারাথন দৌড়ের উৎপত্তি এথেন্সে।গৌরবময় ইতিহাসের উত্তরাধিকার,এথেন্স আজ ধ্রুপদী ধ্বংসাবশেষ,মনোরম প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং প্রাণবন্ত সংস্কৃতিতে রঙিন একটি আধুনিক মহাজাগতিক হিসাবে দাঁড়িয়ে আছে।

[তথ্যসূত্র:গুগল,ইউটিউব,MP3 সাধারণ জ্ঞান (২য় খন্ড) আন্তর্জাতিক]

কন্টেন্ট রাইটার:

নাম: নাজাত মৃধা।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান:রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়।

ডিপার্টমেন্ট:ফিলোসোফি।

সেশন:২০২১-২০২২।

জেলা:মাদারীপুর।

আমি নাজাত মৃধা, ই-নলেজ এর একজন যাচাইকৃত লেখক। আমি এই প্ল্যাটফর্মে যুক্ত আছি প্রায় 4 সপ্তাহ ধরে, এবং এ পর্যন্ত 19 টি লেখা ও 0 টি প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করেছি। আমার অর্জিত মোট পয়েন্ট 390। ই-নলেজ আমার চিন্তা, জ্ঞান ও কণ্ঠকে সবার মাঝে পৌঁছে দিতে সহায়তা করেছে।
★[উৎস]: উক্ত লেখাটি মূল লেখক কর্তৃক প্রকাশিত। https://www.bikoallinone.com/gan_bistar/content_details/16/

ID: 1011
লিংক কপি হয়েছে

এই ব্লগটির প্রতিক্রিয়া দিতে দয়া করে প্রবেশ কিংবা নিবন্ধন করুন ।

সংশ্লিষ্ট ব্লগগুচ্ছ


image
ড. শহীদ সৈয়দ মোহাম্মদ শামসুজ্জোহা (১ মে ১৯৩৪-১৮ ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯)বাংলাদেশের স্বাধী÷[...] বিস্তারিত পড়ুন...
8 বার প্রদর্শিত 0 টি প্রতিক্রিয়া
0 পছন্দ 0 অপছন্দ
ই-নলেজ আইডিয়ায় আপনি নিজের লেখক প্রোফাইল তৈরি করে যেকোনো বিষয়ের উপর লিখতে পারেন। প্রতিটি লেখা থাকবে ইউনিক আইডি সহ, ইন্টারনেটে সার্চ করেও সহজে খুঁজে পাওয়া যাবে। পাবেন ব্যাজ, পয়েন্ট ও স্বীকৃতি—যা লেখক হিসেবে গড়ে তুলবে আপনার পরিচয়। এই প্ল্যাটফর্মে প্রতিভাবানরা একত্রিত হন, আর আপনি হয়ে উঠতে পারেন তাঁদের একজন। নিজের লেখাকে রাখুন নিজের নামে, নিজের প্রোফাইলে—চিরস্থায়ীভাবে।
  1. নাফিসা হাসনীন

    20 পয়েন্ট

    0 টি প্রতিক্রিয়া

    0 মন্তব্য

    1 আইডিয়া ব্লগ

  2. সিরাজুর রহমান

    20 পয়েন্ট

    0 টি প্রতিক্রিয়া

    0 মন্তব্য

    0 টি আইডিয়া ব্লগ

  3. তুশিতা রিহা

    10 পয়েন্ট

    0 টি প্রতিক্রিয়া

    0 মন্তব্য

    0 টি আইডিয়া ব্লগ

  4. আশিক চৌধুরী

    2 পয়েন্ট

    0 টি প্রতিক্রিয়া

    0 মন্তব্য

    0 টি আইডিয়া ব্লগ

...