ডাউন সিনড্রোম একটি বিশেষ ধরণের জেনেটিক বা জিনগত ব্যাধি।এই জেনেটিক রোগটি ডিএন বা ডিএনএস নামেও পরিচিত। ব্রিটিশ চিকিৎসক জন ল্যাংডন ডাউন ১৮৬৬ সালে এই রোগের বর্ণনা দিয়েছিলেন। তাঁর নামেই রোগটি পরে ডাউন সিনড্রোম নামে পরিচিতি পায়। আবার এ রোগে ক্রোমোজম ২১-এর তৃতীয় কপির পুরোটা বা একটা অংশ থাকে বলে এর আরেক নাম ট্রাইসোমি ২১। সোজা কথায়, ২১ নম্বর ক্রোমোজমে দুটির জায়গায় তিনটি ক্রোমোজম থাকে। এ রোগে সাধারণত দৈহিক বৃদ্ধি ব্যাহত হয় এবং বুদ্ধিমত্তা স্বাভাবিকের তুলনায় কম থাকে। ডাউন সিনড্রোমে আক্রান্ত প্রাপ্তবয়স্ক তরুণের গড় আইকিউ (IQ) ৫০ যা ৮-৯ বছরের সুস্থ শিশুর সমান।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বে প্রতিবছর এক হাজার শিশুর মধ্যে একজন ডাউন সিনড্রোম নিয়ে জন্মায়।আর জাতিসংঘের মতে, বিশ্বব্যাপী প্রতি বছর প্রায় ৩০০০ থেকে ৫০০০ শিশু ডাউন সিনড্রোম নিয়ে জন্মগ্রহণ করে । সারা বিশ্বে ডাউন সিনড্রোম মানুষ রয়েছে প্রায় ৬ মিলিয়ন।
লক্ষণসমূহ:
□ ডাউন সিনড্রোম শিশুদের চ্যাপ্টা মুখমণ্ডল, ছোট কান, চোখের কোনা ওপরের দিকে ওঠানো ইত্যাদি বৈশিষ্ট্য দেখা যায়।
□বুদ্ধিবৃত্তিক ও মানসিক বিকাশে বিলম্ব হয়।নতুন কিছু শেখার ক্ষেত্রে সাধারন মানুষের চেয়ে ধীরগতির হয়ে থাকে।
□ডাউন সিনড্রোমের পাশাপাশি অন্যান্য মানসিক সমস্যাও তৈরী হতে পারে।
□হৃদরোগ বা থাইরয়েডের মতো অন্যান্য শারীরিক সমস্যাও তৈরি হতে পারে ।অনেকের ক্ষেত্রে পাকস্থলিতেও সমস্যা দেখা যায়।
ডাউন সিনড্রোমের নির্দিষ্ট কোনো চিকিৎসা নেই, তবে চিকিৎসকদের মতে সঠিক শিক্ষা, থেরাপি এবং চিকিৎসা সহায়তার মাধ্যমে ব্যক্তির মানসিক ও শারীরিক বিকাশে উন্নতি সম্ভব।
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ ২০১২ সাল থেকে প্রতি বছর ২১ মার্চ বিশ্ব ডাউন সিনড্রোম দিবস পালনের সিদ্ধান্ত নেয়।
-মাহমুদুল হাসান মৃদুল
টিম ই-নলেজ।